আটকে গেল মনে রেখো, পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

ঢাকার মাহি ও কলকাতার বনিকে নিয়ে নির্মাতা ওয়াজেদ আলী সুমন বানাচ্ছেন ‘মনে রেখো’ নামের চলচ্চিত্র। বিদেশি ক্যামেরাম্যান, ফাইট ডিরেক্টর, টেকনিশিয়ান দিয়ে বেআইনিভাবে গাজীপুরের একটি রিসোর্টে কয়েকদিন ধরে চলছিল এই ছবির শুটিং।

অভিযোগ ছিল বিদেশি সেসব টেকনিশিয়ানরা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা না নিয়ে, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে কাজ করছিল টুরিস্ট ভিসায়। যেটা পুরোপুরি আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে। এটা রাষ্ট্রবিরোধীও।

এরপর বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত জোট ‘চলচ্চিত্র ঐক্যের জোট’র অভিযোগের ভিত্তিতে এই বেআইনি কাজের সত্যতা খোঁজে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। সেই অনুসন্ধানে সুমনের অবৈধতার প্রমাণ মিলেছে। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে পরিচালক সমিতি ‘মনে রেখো’ ছবির নির্মাতাকে ডেকেছিল। কিন্তু তিনি আসেননি।

তারপর তাৎক্ষণিক মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘মনে রেখো’ ছবির শুটিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেইসঙ্গে পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়। খবরটি ‘মনে রেখো’ ছবির সেটে প্রচার হলে শুটিং না করেই ফিরে আসেন অভিনেতা মিশা সওদাগর। তার সমর্থনে অন্যান্য কলাকুশলীরাও ছবির শুটিং করতে আপত্তি জানান। বাধ্য হয়েই বন্ধ হয়ে গেছে ‘মনে রেখো’ ছবির শুটিং।

এ বিষয়ে জানতে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হয় পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমনের সঙ্গে। কিন্তু বারবার রিংটোন বেজে গেলেও কল রিসিভ করেননি তিনি।

এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহা সচিব বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘আমরা আগেই ওয়াজেদ আলী সুমনকে বেআইনি ভাবে বিদেশি টেকনিশিয়ান এনে কাজ করতে বারণ করেছিলাম, সে শোনেনি। এরপর চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম, তারপরও সে শোনেনি। সবশেষে মিটিংয়ে এটা সুরাহা করার জন্য আজ ডেকেছিলাম তারপরও সে আসেনি। এটা বেয়াদবির চূড়ান্ত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইমিগ্রশন থেকে খোঁজ নিয়েছি। সেখানাকার টেকনিশিয়ানরা কেউ ওয়ার্ক পারমিট নেয়নি। এরপর তৎক্ষণাৎ আমরা সিদ্ধান্ত নেই এই ছবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার। পরিচালকের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে খুব তাড়াতাড়ি। এরপর হয়তো পরিচালক সমিতি থেকে তার পরিচালক সনদও বাতিল করা হবে।’

পরিচালক সমিতির যুগ্ম মহাসচিব শাহীন সুমন বলেন, ‘ওয়াজেদ আলী সুমন যদি আমাদের ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েন, ফাইটিং অ্যাসোসিয়েনসহ সকল সমিতির সঙ্গে কথা বলে বৈধভাবে শুটিংয়ের কথা দিয়ে মিটমাট করে নিতে পারে তবে হয়তো এর ফয়সালা হবে। তার আগে কোনো শুটিং হবে না। আজ থেকে এই ছবির শুটিং বন্ধ। আর ফয়সালা না হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

‘মনে রেখো’ ছবিটি নির্মিত হবে হার্টবিট প্রডাকশন হাউজের ব্যানারে। এখনও পর্যন্ত শতকরা ৩৫ ভাগ শুটিং শুরু হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই