আজ বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের সাত উপজেলার ৩৬ গ্রামে, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ১৩ গ্রামে ও ভোলার ১৪ গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণাঞ্চলের সাত উপজেলার ৩৬ গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। এই গ্রামগুলোতে প্রতিবছরই এক দিন আগেই ঈদ উদযাপিত হয়।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা তাদের তৎকালীন গদিনসিন পীরের নির্দেশ অনুসারে এ নিয়মে ঈদ পালন করে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের যেসব গ্রামে ঈদ উদযাপন করার খবর পাওয়া গেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনগর, সাতবাড়িয়া, হারালা, বাইনজুড়ী, বরকল ও কানাইমাদারী, সাতকানিয়া উপজেলার মীর্জাখীল, চরতী, সুইপুরা ও গাটিয়াডেঙ্গা, লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ও চুনতী, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ও তৈলারদ্বীপ। পটিয়া উপজেলার কালারপুল, হাইদগাঁও, মল্লপাড়া, পৌর সদর ও বাহুলী এবং বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, বেঙ্গুরা ও সারোয়াতলী।

এক দিন আগে ঈদ পালনসংক্রান্ত বিষয়ে মুরব্বিরা জানান, প্রায় ২০০ বছর আগে দক্ষিণ চট্টগ্রামের তৎকালীন গদিনসিন পীর মাওলানা মুখলেছুর রহমান (রহ.) পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা, ঈদ এবং কোরবানি পালনের নিয়ম প্রবর্তন করেন। আর এ নিয়ম চলে আসছে দীর্ঘ দুই শতাধিক বছর ধরে।

কুষ্টিয়া : ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ১৩টি গ্রামের শতাধিক পরিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। বুধবার উপজেলার ভালকী, পায়রাডাঙ্গা, বৈঠাপাড়া, কুলবাড়ীয়া, বোয়ালিয়া, পার্বতীপুরসহ ১৩ গ্রামের মুসল্লিরা বুধবার সকাল ৮টায় উপজেলার আব্দুল কাদের দুলদুলের ধানের চাতালের অস্থায়ী ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এতে ইমামতি করেন ইমাম আসাদুজ্জামান।

ভোলা : ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার ১৪টি গ্রামে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। সুরেশ্বর ও মাইজ ভাণ্ডারিয়া ও সাতকানিয়া পীরের অনুসারীরা পৃথকভাবে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ঈদের নামাজ আদায় করেন। সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় বোরহানউদ্দিনের মুলাইপওন গ্রামে।



মন্তব্য চালু নেই