আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলেন সুরঞ্জিত

নির্বাচন কমিশনের বেধে দেয়া সময় অনুযায়ী গতকাল মধ্য রাতে ভোট চাওয়ার সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ইলিশ ও টেবিল ঘড়ি মার্কায় ভোট চান।

সভায় উপস্থিত লোকদের উদ্দেশে সুরঞ্জিত বলেন, কালকেই (মঙ্গলবার) তো নির্বাচন, আমরা ভোট দিতে যাবো। আপনারা ভোট দিতে যাবেন তো উত্তরে বা দক্ষিণে? কিসে ভোট দেবেন? এসময় সবাই বলে ইলিশ। কেউ কেউ টেবিল ঘড়ি বলে সাড়া দেন।

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যখন আপনি নিজের ছেলের জন্য চোখের পানি ফেলেন তখন আমারও মায়া হয়। কারণ আমিও মানুষ। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে যাদের পুড়িয়ে মেরেছেন তাদেরও মা আছে। তাদের জন্য কি একবারও পানি ফেলেছেন?

তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন রাজনীতি করছি। রাজনীতিতে জঘন্য মিথ্যাচার শুরু করেছেন খালেদা জিয়া নিজেই। তিনি নিজেই হরতাল দিয়েছেন। আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছেন। এখন আবার ২০ দলকে জড়াচ্ছেন এই দায়ের সঙ্গে। বিএনপির মত একটি দলকে জঙ্গিবাদি দলে পরিণত করে দলের ১২ টা বাজিয়েছেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কীভাবে খালেদা জিয়া মানুষকে গাড়ির নিচে চাপা দিচ্ছেন গতকাল প্রধানমন্ত্রী তার একটি ছবি দেখিয়েছেন। আজ বিভিন্ন পত্রিকায় সেটা ছাপা হয়েছে। এভাবে যদি গাড়ির নিচে মানুষকে চাপা দেয় তাহলে তার প্রতিক্রিয়া হবে না?

নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামানোর সুরঞ্জিত বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামছে। সেনাবাহিনী নামানোর দাবি বিএনপির ছিল। তা নামানো হয়েছে। আবার বলে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিতে হবে। মনে রাখতে হবে এই ক্ষমতা এরশাদ দিয়েছিল। পরে যখন এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হয় তখন ওটা আবার বাতিল করা হয়। তখন খালেদা জিয়াও ছিল।

বিএনপির সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, গতকাল বিএনপির মওদুদ আহমেদ বলেছেন নির্বাচন কমিশন সাংঘাতিক অন্যায় করে ফেলেছে। সুজনকে পর্যবেক্ষক থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তারাই পর্যবেক্ষক হয় যাদের নাম নিবন্ধিত থাকে। এখানে যাদের নাম নিবন্ধিত ছিল তাদের নাম এখনো আছে। সুজন একটি এনজিও। তারা পর্যবেক্ষক না। তারা ভাষণ টাষণ দেয় আর কী। এই ধরনের দায়িত্বশীল লোকের কাছে এরকম দায়িত্বহীন কথা মানুষ নির্বাচনের আগে আশা করে না।

মাহি বি চৌধুরীর হামলার বিষয়ে বলেন, আমাদেরও অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী আছে। তাদের বুঝানোর পরও তারা শোনে না। কিন্তু বিএনপি একজনকে সহ্য করতে পারলো না। স্ত্রীসহ মাহিকে হামলা চালালো। সে স্পষ্ঠ বলেছে। তার বাবাকে যারা হামলা করেছিল তারাই তার উপর হামলা করেছে।

সংগঠনের উপদেষ্টা ডা. খন্দকার এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই