মতিঝিলে ভয়াবহ আগুন

আগুন নেভাতে ভেন্টিলেশন পদ্ধতি

রাজধানীর দিলকুশায় বিআইএফসিএল ভবনের ভয়াবহ আগুন নেভাতে ভেন্টিলেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক মেজর শাকিল নেওয়াজ জানান, আগের রিমেথড পদ্ধতি ব্যর্থ হওয়ার পর ভেন্টিলেশন পদ্ধতিতে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। এ পদ্ধতিতে প্রথমে পানি দিয়ে তাপমাত্রা কমানো হচ্ছে। ওই ভবনের যে তলায় আগুন ধরেছে, তার ভেতরের তাপমাত্রা এখন ২০০-৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ কারণে সেখানে ফায়ার ফাইটাররা ঢুকতে পারছেন না। তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসলে তারা কাজ করতে পারবেন।

বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত কর্মীরা।

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুন নেভাতে গিয়ে এ পর্যন্ত চার জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদের ঘটনাস্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

 মতিঝিলে ভয়াবহ আগুন

রাজধানীর মতিঝিল-দিলকুশা এলাকায় বিআইএফসিএল ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভয়াবহ আগুন লেগেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

শনিবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

চার ঘণ্টার বেশি সময়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এতে ওই ভবনের অন্য তলায় বিভিন্ন অফিসে কর্মরতরা বিক্ষোভ করছেন। তাদের প্রশ্ন, চার হাজার বর্গফুট জায়গার আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না কেন?

এদিকে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচাল রফিকুর রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক নুরুল হক। রফিকুর রহমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে রেডক্রিসেন্টের কর্মীরা।

তিনি বলেছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ১২টি ইউনিট রিমেথড পদ্ধতিতে কাজ করছে। তবে অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসায় অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা ঠিকমতো কাজ করতে পারেছেন না। তবে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার প্রাণপণ চেষ্টা করে চলেছেন।

Motijhil-1426332294

এদিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তা করছেন পাশের ভবন ইউনুস সেন্টারের প্রশিক্ষিত ৪৫ জন কর্মী। তারা তাদের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপন সরঞ্জাম ব্যবহার করছেন।

যতো সময় গড়াচ্ছে আগুনের তীব্রতাও বাড়ছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিআইএফসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাবুর রহমান বলেন, ‘কোথা থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব হয়নি। তবে ভবনের পাশে নুরু বস্তি থেকে এর সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। বস্তিটি মালিক জনৈক নুরুল ইসলাম। বস্তি উচ্ছেদের বিষয়ে তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে নুরু বস্তির লোকজন জড়িত থাকতে পারে।’

বিআইএফসিএল-এর ম্যানেজার মোকাব্বেরুল রাকুব জানান, ৬৩ দিলকুশা তাদের হেড অফিস। বৃহস্পতিবার অফিস শেষে এটি তালাবদ্ধ ছিল। আগুনে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।

এদিকে এই ভবনটিতে আল আরাফা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক ও কয়েক বিমা কোম্পানির অফিসে রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মী আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস অভিযান চালাচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই