আগুন থেকে বেঁচেছিল ছোট্ট মেয়েটি, ১৮ বছর পরে খোঁজ পেল জীবনদাতার

২০১৪ নাগাদ জোশিবেল তার জীবনের সেই ঘটনা গুগল-এ সার্চ করে। এবং প্রথমবার দেখে তার ত্রাতার মুখ। তারপরে ফেসবুক। অবশেষে দেখাও হয় দু’জনের।

১৯৯৮ সালের ঘটনা। পাঁচ বছরের ছোট্ট জোশিবেল আপোন্তে কাকার সঙ্গে তখন বাড়িতেই ছিল। কানেক্টিকাটের হার্টফোর্ড অঞ্চলের ওয়াশিংটন স্ট্রিটের ওই বাড়িতে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার, পিটার গেট‌্জ পৌঁছে যান দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাড়ির সামনে। ততক্ষণে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল দমকলকর্মীরা। বাড়ির ভেতর থেকে অজ্ঞান অবস্থায় জোশিবেলকে উদ্ধার করে কোনও রকমে পিটারের হাতে তাকে দিয়েই আবারও ভিতরে চলে যান তিনি। ঘটনাচক্রে তখনও কোনও মেডিক্স-ফোর্স এসে পৌঁছোয়নি সেখানে।

ছোট্ট জোশিবেলের ততক্ষণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে গেছে। সাধ্যমতো গাড়ি চালিয়ে পিটার কাছের হাসপাতালে পৌঁছন। ততক্ষণ পর্যন্ত পিটার ‘আর্টিফিশিয়াল রেসপিরেশন’ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন শিশুটিকে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রায় কয়েক ঘণ্টা পরে জ্ঞান ফেরে জোশিবেলের। তবে, ঘটনার কয়েকদিন পরে হাসপাতালেই মারা যান জোশিবেলের কাকা।

পরবর্তীকালে পিটার ও তাঁর সহকর্মীরা, জোশিবেলের পরিবারকে নানা ভাবে সাহায্য করেন। টাকা জোগাড় করে জোশিবেলের কাকার মরদেহ পাঠিয়ে দেন ভেনেজুয়েলায়, তাঁদের পরিবারের কাছে। জোশিবেলের পরিবারকে দেওয়া বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে, তাকে একটি টেডি বিয়ার উপহার দিয়েছিলেন পিটার।

এর পরে সকলেই তাঁদের নিজ নিজ জীবনে ব্যস্ত হয়ে যান। তবে, পিটারের সতর্ক দৃষ্টি থাকত ছোট্ট মেয়েটির দিকে। ২০১৪ নাগাদ জোশিবেল তার জীবনের সেই ঘটনা গুগল-এ সার্চ করে। এবং প্রথমবার দেখে তার ত্রাতার মুখ। তারপরে ফেসবুক। অবশেষে দেখাও হয় দু’জনের। ২০১৬-র মে মাসে জোশিবেল স্নাতকের ডিগ্রি পায় ইস্টার্ন কানেক্টিকাট স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে। সেখানে তার পরিবারের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন পিটার গেট‌্জও।

এক আবেগঘন মুহূর্তে পিটার গেট‌্জ বলেন, ‘এ এমন এক ঘটনা, যা সারা জীবন মনে থেকে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, দমকলকর্মীরা, হাসপাতালকর্মীরা সকলেই তাঁদের কাজ করেছিলেন, তাই আজ এমন এক সুন্দরী যুবতী বেঁচে আছেন পৃথিবীর বুকে।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই