আগারগাঁও থেকে এনআইডি সেবা যাচ্ছে উপজেলায়

ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের কার্যালয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন বা স্থানান্তরের আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

এর পর থেকে নতুন ভোটার হওয়া, সংশোধন, স্থানান্তর বা আঙুলের ছাপ হালনাগাদের সব কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন কার্যালয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন।

এনআইডি উইং বলছে, এসব সেবায় ফি আরোপের পর গত সেপ্টেম্বর থেকে চার লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে। উপজেলা পর্যায়ের লাখ লাখ জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন আটকে আছে।

এ উইংয়ের পরিচালক (অপরারেশন্স) সৈয়দ মুহাম্মদ মুসা বলেন, “কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারি চাকরিজীবীর এনআইডি সংশোধনের চাপে গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে উপজেলা পর্যায়ের লাখ লাখ আবেদনের নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। এখানে এভাবে কাজ করতে গেলে তো শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে।”

ঢাকার ১৫টি থানা নির্বাচন অফিসসহ দেশের ৫১৪টি উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসে নাগরিকরা জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সেবা পাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেবা বিকেন্দ্রীকরণের’ জন্যই এ ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে গত বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগ।

সৈয়দ মুহাম্মদ মুসা বলেন, “আমরা সেপ্টেম্বরের দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে এনআইডি সেবা দেওয়া শুরু করেছিলাম; পরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য তা শিথিল করে হেডকোয়ার্টারে কাজ নেওয়া শুরু করি। এখন প্রধান কার্যালয়ে আর আবেদন নয়, স্ব স্ব উপজেলায় সংশোধন করা যাবে।”

কেবল হারানো পরিচয়পত্রের ডুপ্লিকেট সংগ্রহের ক্ষেত্রে ‘জরুরি সেবা’র আবেদনগুলোই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে করার সুযোগ থাকছে বলে জানান তিনি।

কর্মকর্তারা জানান, উপজেলা পর্যায়ে আটকে থাকা আবেদনগুলোর মধ্যে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার করে আবেদনের নিষ্পত্তি করা হচ্ছে ঢাকায়। এসব আবেদন যাচাই করে প্রয়োজনী এনআইডি প্রিন্ট করে ফের উপজেলায় পাঠানো হচ্ছে।

পরিচালক মুসা বলেন, এনআইডি সেবার জন্যে ব্যাংকে নির্ধারিত ফির বাইরে কেউ অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার চেষ্টা করলে এবং এ ধরনের অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“যাচাই বাছাই ও আবেদন নিষ্পত্তির জন্য আমাদেরও সময় দিতে হবে। সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। স্থানীয় কর্মকর্তারাও যাতে কোনো অনিয়ম-অবহেলা না করে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে শিগগিরই।”

বর্তমানে দেশে প্রায় ১০ কোটি ভোটার রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত এক কোটির হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র নেই।



মন্তব্য চালু নেই