আগামী বছরই নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে সাবমেরিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠন করার স্বপ্ন ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি কাজ করে গেছেন।

বুধবার সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন মনে করেছিলেন। তিনি ছিলেন বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের নেতা। সমুদ্রসীমায় দেশকে শত্রুর হাত থেকে মোকাবেলার জন্য একটি শক্তিশালী বাহিনী প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন এবং নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শক্তিশালী নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে সাবমেরিন যুক্ত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রত্যয় ও স্বাধীন নামে দুটি জাহাজ আগামী মাস থেকে নৌবহরে যুক্ত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত করে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা হবে। এ লক্ষ্যে পটুয়াখালীর রাবনাবাদ এলাকায় এভিয়েশনসংবলিত দেশের সর্ববৃহৎ নৌঘাঁটি নির্মাণকাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, দারিদ্র্যসীমা নিচে নেমে এসেছে। আগামী ২০ সালের আগেই দেশ একটি উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। অনেক ক্ষেত্রে আমরা ভারত-পাকিস্তানকেও ছাড়িয়ে গেছি। আমাদের সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখন দেশের উন্নয়ন হয়েছে। আগামীতেও হবে।

সমুদ্রপথে বাণিজ্য ছাড়াও সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা, আহরণ এবং বাণিজ্যে ব্যবহার করা নৌবাহিনীর দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে যোগ দিতে সকাল পৌনে ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকালেই তাঁর ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই