আওয়ামী লীগে ফের হেনরী

আগামী ৮ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী। তিনি এবার আলোচনায় এসেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে একমাত্র নারী প্রার্থী হয়ে।

দলের স্থানীয় নেতারা বলেছেন, সিরাজগঞ্জের আওয়ামী রাজনীতিক পরিবার মরহুম মোতাহার মাস্টারের পূত্রবধু জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে দিনরাত দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। একজন নারী প্রার্থী হিসেবে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের হাল ধরতে চান।

নেতারা আরো জানান, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী রুমানা মাহমুদের কাছে অল্প ভোটে হেরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে হেনরী সোনালী ব্যাংকের অন্যতম পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। সেই থেকেই তার উত্থান শুরু হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং হলমার্ক কেলেঙ্কারীর সঙ্গে তার জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। তিনি বিতর্কিত হয়ে পড়েন। সেই থেকে দলের সিনিয়র নেতারা তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেন।

নেতারা আরো জানান, কিছুদিন পর আবারও নিজের ইমেজ উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন হেনরী। এ সময়ের মধ্যেই দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়ের করা অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এরপর তিনি সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম তোলেন। কিন্তু সেখান থেকেও ছিটকে পড়েন। তবুও হাল ছাড়েননি হেনরী। ভুল-ত্রুটি শুধরে দলে নিজের অবস্থান ফিরিয়ে আনতে দিনরাত দল ও কর্মীদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শুধু সিরাজগঞ্জে নয়, উত্তরাঞ্চলের বড় বড় দলীয় কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করছেন তিনি। জেলা আওয়ামী লীগের হাল ধরার আগ্রহ নিয়ে সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।

জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আত্মবিশ্বাস রেখে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী ৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলে দলকে সুসংগঠিত করবো এবং নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে থেকে কাজ করে যাবো। আমি অনিয়ম বা দুর্নীতির সঙ্গে কোনদিন ছিলাম না, ভবিষ্যতেও থাকবো না। আমি মানুষের মাঝে আছি এবং চিরদিন থাকব।’



মন্তব্য চালু নেই