আওয়ামী মাস্তানির দাপটে ভাষা শহীদরা বিস্মৃত

শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতার অপব্যবহারে একুশের চেতনা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। ভাষা শহীদের নাম কেউ জানে না, জানে তাদের মাস্তানদের নাম। বইপত্রে, ইতিহাসে, জাগায়-জাগায় ব্যানার ফেস্টুন বিলবোর্ডে শুধু তাদের প্রচার। তাদের এ দাপটে মানুষ জানতেই পারছেন না ভাষা শহীদদের।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, হিন্দি ভাষার দাপটে আজ বাংলা ভাষা হারিয়ে যেতে বসেছে। যে ভাষার জন্য জাতির এতো উৎসর্গ সেই ভাষা শহীদদের নাম কেউ জানে না জানে আওয়ামী মাস্তানদের নাম।

বিএনপির এই নেতা বলেন, অনির্বাচিত সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ধীরে ধীরে দেশটা মূর্খের দেশে পরিণত হচ্ছে। মন্ত্রী এমপিরা ইংরেজি বলতে পারে না। সচিবরা সঠিকভাবে বাংলাও উচ্চারণ করতে পারে না।

ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্বে মামলা প্রসঙ্গে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, তিনি ভুল স্বীকার করেছেন তারপরও তার বিরুদ্ধে কথা বলা হচ্ছে। তার চেয়ে মারাত্মক কথা বলেছিলেন ক্ষমতাসীন দলের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জলিল, ওবায়দুল কাদের, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মিথ্যাচার করে তারা সব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ার পায়তারা করছে।

গুম খুন ক্ষমতাসীনদের আমলেই শুরু হয়েছে এমন দাবি করে তিনি বলেন, মায়ের সামনে কন্যা ধর্ষণ। আওয়ামী মাস্তানদের ভয়ে কিশোরীরা দিশেহারা। কিন্তু পুলিশ নিশ্চুপ কেন? কারণ প্রতিটা ঘটনার পেছনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়িত। এভাবে চলতে থাকলে দেশ এক সময় সিরিয়া, আফগানিস্তানের মতো হয়ে যাবে।

নারায়নগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে রিমান্ডে না নেয়ার কঠোর সমালচনা করে তিনি বলেন, হায়রে দেশ! আমরা সবাই অন্যায় না করেও রিমান্ডে যাচ্ছি। কিন্তু তাকে রিমান্ড নেয়া হচ্ছে না।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে মহান একুশের চেতনা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান, বিএনপির সহ-স্বেচ্ছা সেবক বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশারফ হোসেন, জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই