আইসিসি থেকে অপসারিত হচ্ছেন শ্রীনি !

চারদিক অন্ধকার দেখছেন আইসিসি চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসন। ক্রমেই তিনি একা হয়ে পড়ছেন। নিজ দেশে একের পর এক ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে শ্রীনিবাসনকে। পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে তার! একের পর এক ঝামেলা মোকাবেলা করতে করতে ক্লান্তও হয়ে পড়েছেন বলা যায়। এবার ক্ষমতার আসল জায়গাটি হারাতে চলেছেন ভারতের বিতর্কিত এই কর্মকর্তা।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ক্রমেই শ্রীনিবাসনের শত্রু বাড়ছে। ভারতীয় বোর্ডের (বিসিসিআই) একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্ভবত আইসিসির চেয়ারম্যানের পদ থেকেও তাকে সরে যেতে হবে। আগামী ২৪মে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই’র একটি বিশেষ সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই না কি নির্ধারিত হবে, আইসিসি থেকে শ্রীনিবাসন অপসারিত হওয়ার বিষয়টি।

চরম দুর্নীতিগ্রস্থ এই লোকটি বাংলাদেশেরও গণশত্রু! সংবিধান লঙ্ঘণ করে তিনি তৎকালীন আইসিসি প্রেসিডেন্ট আ হ ম মুস্তফা কামালের অধিকার হরণ করেছিলেন। বিশ্বকাপবিজয়ী অধিনায়কের হাতে তুলে দিতে দেননি ট্রফি। আর এতে যারপনারই ক্ষুব্ধ হয়ে শেষ পর্যন্ত মেয়াদ পূরণের আগেই আইসিসি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়ান মুস্তফা কামাল।

সরে দাঁড়ানোর আগে বাংলাদেশের সাবেক বোর্ড প্রেসিডেন্ট তোপ দাগেন শ্রীনিবাসনকে! বলেন, ‘ওই লোকটার (পড়তে হবে শ্রীনিবাসন) কারণে আইসিসি কার্যত অচল হয়ে পড়ছে। ওর শরীর থেকে দূর্গন্ধ বেরোয়। এমন একটা লোক চেয়ারম্যান হলে সংস্থাটি ভালভাবে চলতে পারে না।’ মুস্তফা কামালের কথাগুলো যেন একে একে সত্যি হতে চলেছে।

শ্রীনির জন্য আরও দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে, একসময় তার ঘণিষ্ঠজন বলে পরিচিত সঞ্জয় প্যাটেলের প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করেছে বরোদা ক্রিকেট এসোসিয়েশন (বিসিএ)। সাবেক বিসিসিআই সচিবের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে সঞ্জয় এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এ নিয়ে বিসিএ সচিব আংশুমান গায়কোয়াড় বলেন, ‘বিসিএ-এর অফিস এবং ড্রেসিংরুম সংস্কারের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৮৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়। বাড়তি টাকা খরচের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়নি। তাই আমাদের ম্যানেজিং কমিটি ওর (সঞ্জয় প্যাটেল) প্রাথমিক সদস্য বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ আংশুমানের কথার পাল্টা উত্তর দিয়ে সঞ্জয় বলেছেন, ‘আংশুমানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এখন এতটাই খারাপ যে, আমি এ সিদ্ধান্তে অবাক নই। আদালতে যাচ্ছি।’



মন্তব্য চালু নেই