আইপিইউ সম্মেলন : ঢাকায় আসছে না পাকিস্তান

ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলন থেকে নাম প্রত্যাহার করলো পাকিস্তান। অর্থাৎ এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান। আগামী ১-৫ এপ্রিল ঢাকায় আইপিইউ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাকিস্তান এ সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য নিবন্ধন করলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে এর কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ জানায়নি ইসলামাবাদ।

একটি নোট ভার্বালের মাধমে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জানিয়েছে। তিন প্যারার এই চিঠিতে পাকিস্তান বিষয়টি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর হাইকমিশনের প্রতি অনুরোধ করেছে।

এতে বলা হয়, ‘ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আইপিইউ সম্মেলনের ১৩৬তম অধিবেশনে পাকিস্তানের স্পিকার এবং প্রতিনিধিরা অংশ নিতে পারছেন না।’

সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ, ভারত, আফগানিস্তান ও ভুটান ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বর্জন করেছিল। গত ৯ ও ১০ নভেম্বর ইসলামাবাদে ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

সম্মেলনে আইপিইউ সদস্য ১৩১টি দেশের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার এবং সংসদ-সদস্যসহ প্রায় দেড় হাজার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সম্মেলনের সফল আয়োজন দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় একটি মাইলফলক এবং বহির্বিশ্বে একটি উদার, গণতান্ত্রিক ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে বলে মনে করছে সরকার।

আইপিইউ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বক্তব্য দেবেন আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের একজন প্রতিনিধি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তবে মূল আকর্ষণ থাকবে ‘বৈষম্য’ বিষয়ে বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টের স্পিকার বা প্রতিনিধিদলের প্রধানদের অংশ গ্রহণে সাধারণ বিতর্ক।

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতের কৈলাস সত্যার্থীও এ বিতর্কের অন্যতম আলোচক থাকবেন। সম্মেলনে নারী ও তরুণ সংসদ সদস্যদের জন্যও আলাদা অধিবেশন থাকবে।

পৃথিবীর ১৭০টি দেশের পার্লামেন্টের ৪৬ হাজার সদস্য ৬৫০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে আইপিইউ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি আইপিইউ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ১৮৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আইপিইউ নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়।



মন্তব্য চালু নেই