আইন করলেও মুসলিমরা শুধু শরিয়তই মানবে!

তিন তালাক ইস্যুতে আগামী মাসেই শুনানি শুরু হতে চলেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। ঠিক তার আগেই বিস্ফোরক উক্তি সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের। তাঁর দাবি, যাই হোক না কেন, মুসলিমরা শেষমেশ শরিয়ত আইনই মেনে চলবেন। তিন তালাকের মতো প্রথা বন্ধ হওয়ার দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাষ্ট্রীয় মুসলিম মোর্চা। লক্ষ লক্ষ মুসলিম মানুষ তাতে সমর্থন জুগিয়েছেন। যদিও মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের দাবি ছিল, এতে মুসলিমদের অধিকারই ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। শরিয়তি আইন বাকি সবকিছুর উপরে থাকা উচিত। কিন্তু মুসলিমরা যেভাবে তিন তালাকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, তাতে এ যুক্তি ধোপে টেকে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

যদিও আজম খানের মত অবশ্য উল্টো। তিনি জানাচ্ছেন, যদি নতুন আইনও আসে তবু মুসলিমরা শরিয়তই মেনে চলবেন। কেন তাঁর এরকম মত? সপা নেতা জানাচ্ছেন, এটা এমন একটা বিতর্ক, যা দেশের বহু মানুষই সঠিকভাবে জানেন না। তাই শরিয়তের বিরুদ্ধে যদি কোনও আইনও আনা হয়, তাহলেও মুসলিমরা শরিয়তই মেনে চলবে। এর পিছনে অবশ্য ঘোরতর বাস্তবও তুলে ধরেছেন নেতা। তাঁর দাবি, যাঁরাই শরিয়ত অমান্য করবেন তাঁদের সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়। এটাই সমস্যা। আর তাই আইন থাকলেও শরিয়তই মুসলিম সমাজে প্রাধান্য পাবে বলেই মনে করছেন এই নেতা।

অন্যদিকে এই ইস্যুতে খানিকটা হলেও পিছু হটেছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। তাঁদের দাবি, শরিয়ত না মেনে যাঁরা তিন তালাক দিচ্ছেন, তাঁরাও সামাজিক বয়কটের মুখে পড়বে। এদিকে ভুবনেশ্বরে জাতীয় কর্মসমিতির শেষ দিনে এ প্রসঙ্গ শোনা গিয়েছিল খোদ প্রধানমন্ত্রীর মুখে। মুসলিম বোনদের সমস্যা মেটাতে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে উদ্যোগী হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির এক সাংবিধানিক বেঞ্চে এই ইস্যুর শুনানি শুরু হবে ১১ মে থেকে।



মন্তব্য চালু নেই