আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় দুই ‘বাঙালি’ কিশোরী

যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই কিশোরী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে সিরিয়ায় গেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ পুলিশ। তাদের সঙ্গে ইথিওপীয় বংশোদ্ভূত এক কিশোরীও রয়েছে।

শামীমা বেগম (১৫), খাদিজা সুলতানা (১৬) এবং ১৫ বছর বয়সি আরেক কিশোরী বেথনাল গ্রিন একাডেমির শিক্ষার্থী।

মেট্রোপলিটন পুলিশের কমান্ডার রিচার্ড ওয়ালটন জানিয়েছেন, তিনি আশঙ্কা করছেন, তারা সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্য ছেড়ে আইএসে যোগ দিয়েছিল যে কিশোরী, এই তিনজন তারই বন্ধু।

ওয়ালটন জানান, এই খবরে তিন কিশোরীর পরিবার ‘অত্যন্ত’ ভেঙে পড়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, তারা সম্ভবত এখনো তুরস্কের সীমান্তে অবস্থান করছে।

এই তিন কিশোরীকে গত মঙ্গলবার সকালে সর্বশেষ তাদের বাড়িতে দেখা গেছে। তারা অভিভাবকদের বুঝিয়ে সেদিন বেরিয়ে পড়ে এবং তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে তুরস্কে চলে যায়। পরিবারের অনুরোধেই তৃতীয় কিশোরীর নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। গেটউইক বিমানবন্দরের সিসিটিভিতে ধরা পড়ে তিন কিশোরীর ছবি।

পুলিশ বলছে, শামীমা সম্ভবত তার বড় বোন আকলিমার (১৭) নাম ব্যবহার করে ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে। শামীমা ও অজ্ঞাতনামা কিশোরীটি নিখোঁজ হওয়ার খবর তাদের পরিবার পুলিশকে জানায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আর খাদিজা সুলতানার ব্যাপারে জানায় বুধবার।

খাদিজা ও শামীমা ইংরেজি ও বাংলায় কথা বলতে পারে। আর অজ্ঞাতনামা কিশোরীটি ইংরেজি ও ইথিওপিয়ার ভাষায় কথা বলতে পারে।

ওয়ালটন বলেন, ‘তারা সম্ভবত এখনো তুরস্কের সীমান্তে নিরাপদে অবস্থান করছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়াই হবে তাদের সবচেয়ে বড় কাজ।’

তথ্যসূত্র : বিবিসি।



মন্তব্য চালু নেই