অ্যানেমিয়া সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে এই ৭টি ফল

বর্তমান সময়েঅ্যানেমিয়া অথবা রক্ত স্বল্পতা খুব সাধারণ একটি রোগে পরিণত হয়েছে। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে অ্যানেমিয়া দেখা দেয়। সাধারণত সাধারণত ১৪-১৮ মিলিগ্রাম একজন পুরুষের এবং ১২-১৬ মিলিগ্রাম একজন নারীর শরীরে হিমোগ্লোবিন থাকা উচিত। World Health Organization এর মতে সারা বিশ্বে শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ অ্যানিমিয়া অথবা রক্তস্বল্পতা সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য অনেকে নানা খাবার খান। তার মধ্যে ফলও রয়েছে। কিছু ফল রয়েছে যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। এমন কিছু ফলের সাথে পরিচিত হওয়া যাক তাহলে।

১। আলুবোখারা

আলুবোখারা এবং আলুবোখারা রসে প্রচুর আয়রন রয়েছে। এবং এটি অ্যানেমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা দূরে বেশ কার্যকর। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় আলুবোখরা রাখুন।

২। আপেল

প্রতিদিন একটি করে আপেল খান, এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। আপেল খাওয়ার পরিবর্তে আপেল এবং বিট মিশিয়ে জুস করে পান করতে পারেন। এর সাথে আদা অথবা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি দিনে দুইবার পান করুন।

৩। বিট

বিটকে ঠিক ফলের মধ্যে ধরা না হলেও এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকর। এটি রক্ত কোষ মেরামত করে রক্ত কোষ জীবিত রাখে। এমনকি রক্তে অক্সিজেন সরবারহ বজায় রাখে বিটের রস। সালাদ অথবা বিট জুস করে পান করুন।

৪। খেজুর

এক কাপ দুধে দুটি খেজুর ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। পরের দিন সকালে খালি পেটে এটি পান করুন। দুধ খেতে না চাইলে খালি পেটে কয়েকটি খেজুর খেতে পারেন। এছাড়া ১-২টি খেজুর গরম দুধে ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে এটি পান করুন। নিয়মিত পানে এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন পরিমাণ বৃদ্ধি করবে। এছাড়া প্রতিদিন দুটি করে খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৫। জাম্বুরা

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ জাম্বুরা রক্ত স্বল্পতা দূরে বেশ কার্যকর। আপনি জাম্বুরা কাঁচা অথবা রস করে খেতে পারেন।

৬। কমলা

ভিটামিন সি রক্তের আয়রন শুষে নিতে সাহায্য করে। তাই ভিটামিন সি জাতীয় ফল যেমন কমলা, লেবু নিয়মিত খাওয়া উচিত। এই ফলগুলো পরোক্ষভাবে রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।

৭। ডালিম

আয়রন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেইড, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। অথবা এক গ্লাস ডালিমের রস পান করুন। এছাড়া দুই চা চামচ ডালিমের গুঁড়ো এক গ্লাস গরম দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন। এটি দিনে একবার পান করুন।



মন্তব্য চালু নেই