অসৎ সুন্দরী রমনীদের যা পরিণতি হয়

শুনেছি, সুন্দরী রমনীরা প্রেম করতে ওভারস্মার্ট, ক্রেজি ছেলে খোঁজে। আর বিয়ের সময় চায় সহজ-সরল নিখাদ ভদ্র একটা ছেলে; যে কিনা তার পিছু পিছু এনিটাইম ছাগলের মতো ম্যা..ম্যা. করবে! আজকে আপনাদের সংক্ষেপে সেইরাম একটি প্রচলিত কাহিনী শুনাবো, যা পুরোপুরিই বাস্তব।

‘আমার জনৈক বন্ধু, সহজ-সরল এবং ভদ্র একটা ছেলে। জনৈক সুন্দরী রমনীকে সে প্রচণ্ড ভালোবাসতো। দুজনের সম্পর্কটাও ছিলো চমৎকার। দুজনেই পড়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে তাদের ক্যাম্পাস ছিলো ভিন্ন। তাদের প্রায় সময় দেখা-সাক্ষাত হতো। একসময় ঘটলো বিপত্তি। আমার বন্ধুটি কিছু ব্যস্ততার দরুণ দুয়েকদিন তার প্রেমিকার সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারেনি। এই সুযোগে মেয়েটি আচমকা ব্রেক মেরে ক্যাম্পাসের ওভারস্মার্ট, ক্রেজি একটা ছেলের ওপর ছিটকে পড়ে।

ওই ঘটনায় আমার বন্ধুটি প্রথম প্রথম মুছড়ে পড়লেও পরে ওভারকাম করতে সক্ষম হয়। কয়েক বছর প্রেমের দীক্ষা সমাপ্ত করে সম্প্রতি ওই রমনী নাকি আমার বন্ধুকে বিয়ের প্রস্তাব দিযেছে। সে নাকি কোকিল কণ্ঠে আমার বন্ধুকে বলেছে,“আমি ভুল করেছিলাম, মাফ করে দাও। তোমাকে আমি আর হাতছাড়া করতে চাই না, চলো আমরা বিয়ে করি”! হেন তেন। শুরুতেই বলেছি আমার বন্ধু সহজ-সরল, ভদ্র ছেলে। সে তার সহজ-সরল ভঙ্গিতেই ওই রমনীকে বলেছে, ‘আমার এখন বিয়ের সময় নয়, প্রেমের সময়’। কি আর করা! নিরূপায় হয়ে ওই রমনী এখন তৃতীয় পক্ষের খোঁজে নেমেছে’! -কাহিনীটা এখানেই শেষ।

এবার অন্য কথা বলি। এসব রমনীরা এমনই হয়ে থাকে। পুরো যৌবনটাই নষ্ট করে দেয় তৃতীয়পক্ষ খোঁজ করে। সবশেষে অবশ্য একটা ‘ভেড়া ছাগলের’ গলার ফাঁস হয়ে পড়ে! এতে কি লাভ হয়? উপরুন্তু, তাদের সুন্দর চরিত্রে আজীবনের জন্য একটি কলঙ্গের দাগ পড়ে থাকে, যা অজ্ঞরা বুঝতে পারে না। এথেকে যা বুঝতে পারি—-

১। নৈতিকতা: এধরনের রমনীদের নৈতিকতার প্রচণ্ড ঘাটতি থাকে বলেই নানাদিকে চোখ চলে যায়। যে কারণে শেষ পর্যন্ত নিজেদের জন্য উত্তম কিছু বাছাই করতে তারা ব্যর্থ হয়।

২। লোভ: কথায় আছে ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’। এদের বেলায়ও ঠিক এমনটাই ঘটে। ওরা মূলত অল্পে তুষ্ট নয়, আগের চেয়ে উত্তম কিছু চাইতে গিয়ে পূর্বেরটাও হারিয়ে বসে।

৩। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস: এধরনের রমনীরা নিজেদের অতি সুন্দরী মনে করে, ফলে নিজেদের ইচ্ছে মতো সৌন্দর্যকে ব্যবহার করে। কিন্তু তারা বুঝতে চায় না যে সৌন্দর্য নয়, মানুষের জীবনে শেষ পর্যন্ত যা প্রয়োজন তাহলো ‘পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস’।

৪। অধৈর্য: এরা অসম্ভব ধৈর্যহীন হয়ে থাকে। এধরনের রমনীরা প্রতি মুহূর্তে নিজেদের চাহিদা পূরণ করতে চায়। সঙ্গী সামান্য সময়ের জন্য দূরে গেলে কিংবা যোগাযোগ কিছুদিন বন্ধ থাকবে তা তারা মেনে নিতে পারে না। যার ফলে সঙ্গীর অনুপস্থিতে বিকল্প পথে পা বাড়ায়। আর সেটাই তাদের জন্য ধ্বংস ডেকে আনে, যা সবাই বুঝতে পারে না।

লেখাটি কাউকে কটাক্ষ করার জন্য নয়, একটু সচেতনতার জন্যই লেখা মাত্র। আমরা জানি, নারীরা সুন্দর পথে চললে, পবিত্র হলে পুরো সমাজ, দেশ এবং জাতি সুন্দর হয়, পবিত্র হয়। নারীরা শিক্ষিত হলে পুরো সমাজ, রাষ্ট্র এবং জাতি শিক্ষিত হয়।

পৃথিবীর অন্যতম সেনাপতি, ফরাসি শাসক নেপোলিয়ান বোনাপার্ট এমনিতে তো আর বলেননি যে, “তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদেরকে একটা শিক্ষিত জাতি উপহার দেব”।

আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। বিশ্বে যা কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি, অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী”। সত্যিই তাই; তোমরা আর আমরা মিলিয়েই তো এই পৃথিবী। তোমরা সুন্দর হলে, পবিত্র হলে আমরাও সুন্দর হই,আমরাও পবিত্র হই।

আসুন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সুন্দর করি। সুন্দর এবং নৈতিকতাসম্পন্ন জীবন গঠন করি। আসুন নিজেদেরকে পবিত্র রাখি। পবিত্র রাখি এই সমাজ এবং আমাদের সোনার বাংলাদেশকে।



মন্তব্য চালু নেই