অস্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধি?

কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। বেশি লম্বা হওয়া অথবা খাটো থাকাও একটি শারীরিক সমস্যার মধ্যে পড়ে। সাধারণত মানুষের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরপরে উচ্চতা বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। তবে তারপর শুরু হয় শরীরের মাংসপেশীর আয়তন বৃদ্ধি, দেহে মেদ জমা। দেহের এসব বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মস্তিস্কের মাঝে অবস্থিত অতি ক্ষুদ্র পিটুইটারি নামক গ্রন্থি।

পিটুইটারি নিঃসৃত রসের প্রভাবেই আমাদের শরীরের আকার বাড়ে। রস কম নিঃসৃত হলে আমরা থেকে যায় বামন আকৃতির। বয়সের কারণে স্বাভাবিক বৃদ্ধি থেমে যাওয়ার পরেও হঠাৎ করে পিটুইটারি বিদ্রোহ ঘটিয়ে বসতে পারে। সমান গতিতে রস নিঃসরণ করে আমাদের শরীরের অস্থি ও মাংসপেশিগুলোকে বাড়াতে থাকে। তখন আমাদের হাত, পায়ের আঙ্গুল, চোয়ালের আকার বেড়ে যায় আকাঙ্ক্ষার চেয়ে বেশি।

আপনিও কি এই সমস্যায় ভুগছেন?

সমস্যার কারণ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পিটুইটারি গ্রন্থিতে একধরনের টিউমার হয়, যার নাম পিটুইটারি এডেনোমা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলো ক্যানসার নয়। এই টিউমারের কারণে পিটুইটারি অধিক পরিমাণে গ্রোথ হরমোন নিঃসৃত করে সব সমস্যার সৃষ্টি করে।

হাত-পায়ের আকার বাড়ে, ত্বক অমসৃণ হয়, নাক ও চোয়াল বেড়ে যায়। জিহ্বা মোটা হয়ে পড়ে, গলার স্বর গভীর ও ভরাট হয়। বাড়তে পারে ঘামের পরিমাণ ও ঘুমের মাঝে শ্বাসবদ্ধতা। শরীরের মধ্যে হৃদয়, ফুসফুস, কলিজা, বৃক্ক ও প্লীহা আকারে বৃদ্ধি পায়। পায়ের পাতা, গোড়ালি ফুলতে পারে। আবার কখনো হাড়ের গিঁটে ব্যথাও হতে পারে।

অধিক উচ্চতা ও অধিক শারীরিক বৃদ্ধির কারণে হৃদযন্ত্রের ওপরে চাপ পড়ে। দ্রুত রোগীর উচ্চরক্তচাপ থেকে শুরু করে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। ডায়াবেটিস, দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া, মাথা ব্যথাসহ রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়তে থাকে।

সচেতনতা

আপনার শরীরে অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সুচিকিৎসায় এই সমস্যা ভালো হওয়া সম্ভব।



মন্তব্য চালু নেই