অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করলো দ. আফ্রিকা

অস্ট্রেলিয়া খুব খারাপ সময় পার করছে? হয়তো না। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা দারুণ সময় পার করছে, এটা সত্য। নইলে কি আর অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইওয়াশ করে তারা? বুধবার সিরিজের শেষ ওয়াডেতে অসিদের ৩১ রানে হারিয়ে ধবলধোলাইয়ের কাজটা সম্পন্ন করে প্রোটিয়ারা।

অস্ট্রেলিয়ার একদিনের ক্রিকেট ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এর চেয়ে বড় লজ্জা কখনো কি পেয়েছিল? না। এবারই অসিরা সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার মানলো। এর আগে ২০০৯ সালে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রোটিয়ােদের কাছে ৪-১ ব্যবধানে পরাজয় বরণ করেছিল অস্ট্রেলিয়া।

কেপ টাউনে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে রিলে রুশোর সেঞ্চুরির সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২৭ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নারের শতকের পরও অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামে ১৯৬ রানে।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অসিদের সূচনাটা খারাপ হয়নি! অ্যারোন ফিন্স ও ডেভিড ওয়ার্নার মিলে দলের স্কোরশিটে যোগ করেন ৭২ রান। তবে ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় ফিঞ্চ সাজঘরে ফিরে গেলে ছন্দ পতন ঘটে অসিদের। পরের ব্যাটসম্যানরা যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।

অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ তো একটি রানও করতে পারলেন না। জর্জ বেইলির ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২ রান। এরপর মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেড ৩৫ রান করে দলকে কিছুটা ভালো অবস্থানে নেয়ার চেষ্টা করেন। পরের ব্যাটসম্যানরা ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক।

তবে এতো ঝড়-ঝাপটার মাঝেও অবিচল ছিলেন ওয়ার্নার। রানআউটে কাটা পড়ার আগে খেলেছেন ১৩৬ বলে ২৪টি চারে ১৭৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তবে এই ইনিংসও অসিদের ধবলধোলাইয়ের লজ্জা এড়াতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন কাইল অ্যাবোট, কাগিসো রাবাদা ও ইমরান তাহির।

এ আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না প্রোটিয়াদের। ৫২ রান তুলতেই নেই তিন উইকেট। একে একে বিদায় নিয়েছেন কুইন্টন ডি কক (১২), হাশিম আমলা (২৫)ও ডু প্লেসিস (১১)। চতুর্থ উইকেটে ১৭৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে আলোর পথে নিয়ে আসেন জেপি ডুমিনি ও রিলে রুশো।

ব্যক্তিগত ৭৩ রানের মাথায় ডুমিনি সাজঘরে ফেরেন মেনির শিকার হয়ে। তবে সেঞ্চুরি করেই মাঠ ছাড়েন রুশো। ট্রিমেইনের শিকার হওয়ার আগে ১১৮ বলে ১৪টি চার ও দুটি ছক্কায় ১২২ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রিমেইন ও মেনি। দুটি উইকেট নিয়েছেন বোল্যান্ড।



মন্তব্য চালু নেই