অলৌকিক নিমগাছে সুমিষ্ট রস!

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কাটরাশাইন গ্রামে একটি নিমগাছ থেকে অলৌকিক ভাবে পড়ছে সুমিষ্ট রস। এই রস যে যে নিয়তে পান করছেন তাদের সেই নিয়ত পূরুন হচ্ছে এবং রোগ হতে মুক্তি পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এতে ওই গাছের রস প্রাণ করার জন্য এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ ভিড় জমাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে উপজেলার কাটরাশাইন হাট-বাজারের উত্তর পাশে আবুল হোসেনের জায়গার উপর অবস্থিত একটি নিম গাছ থেকে হঠাৎ করে ১৭ দিন যাবত খেজুরের গাছের মত ফোটায় ফোটায় রস পড়তে দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। অলৌকিক ভাবে বের হওয়া রস কেমন তা দেখার জন্য মুখে দিলে সুমিষ্ট স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

এই খবর মূহূর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনগনের মাঝে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয় এবং এই রস সাধারণ কোন রস নয় বলে অনেকের ধারনা। এতে এলাকার বিভিন্ন স্থান হতে উৎসুক জনতা এসে এই রস পান করার জন্য প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন।

রস পান করতে আসা উপজেলার কাটরাশাইন গ্রামের কাজীপাড়ার রেজাউল কাজী ওরফে রেজাদুল কাজী (৪২) জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবত প্যারালাইসিস ও ডায়াবেটিক রোগে ভুগছিলেন। তিনি এই রস ৫/৭ দিন পান করে এই রোগ হতে কিছুটা আরাম পেয়েছেন।

কাটরাশাইন গ্রামের মাহমুদা (৪২) জানান, তিনি ২ দিন এই রস পান করে তার হাতের ব্যাথা আরাম পেয়েছেন।। কুদ্দুস সোনার (৪৫) জানান তিনি দীর্ঘদিন যাবত মাঝার ব্যাথায় ভোগছিলেন এই রস পান করে তিনি আরোগ্য লাভ করেছেন।

শাহানাজ (৪৫) জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবত পেটের গ্যাসের ব্যাথায় ভুগছিলেন। বিভিন্ন ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করেও তিনি রোগ হতে মুক্তি পাননি। এই নিমগাছের রস পান করে জটিল ব্যাধি হতে তিনি আরোগ্য লাভ করেছেন বলে জানান।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে আসা জমিলা (৭০), ফিরোজ (৩৮), ছামাদ কাজী (৩৮), মিষ্টি (২৩), বাবলু সোনার (৪১), আব্দুর রহিম (৬০), চন্দ্র বিবি (৪০), বানেছা (৩০) সহ অনেকে জানান, এই রস পান করে উপকৃত হয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারোয়ার জানান, নিম গাছের বিভিন্ন জাদভেদে আবহাওয়া ও হরমোনের পরিবর্তনজনিত কারণে এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই