‘অর্থমন্ত্রী যখন যা সুবিধা মনে করেন, তাই বলেন’

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী যখন যা সুবিধা মনে করেন, তাই বলেন’। চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে অর্থনীতি সমিতির চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনার পর গত কয়েক দিনে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কথা বলার পূর্বে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অতীতে বলা বিভিন্ন কথাবার্তাকে স্মরণ করে আবুল বারাকাত বলেন, তিনি একবার বলেন যে মানি ইজ নো প্রব্লেম, আবার বলেন এতবড় বাজেট দিতে পারব না। উনি প্রাইভেটাইজেশন চান। লিবারালাইজেশন মানে সব প্রাইভেটাইজেশন করে ফেলা না। সাহস থাকলে আর্মি, প্রাইমারি হেলথ কেয়ার, প্রাইমারি এডুকেশন প্রাইভেটাইজ করে দেখান।

রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় পদত্যাগে বাধ্য হওয়া গভর্নর আতিউর রহমানসহ কয়েকজনের বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুহিতের মন্তব্য এবং তা অস্বীকারের প্রেক্ষাপটে শনিবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে এই অভিযোগ তোলেন বারকাত। অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক আতিউরের সহকর্মী বারকাত বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ হারানো নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

গত বাজেটের আগে অর্থনীতি সমিতি ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাজেট’ শিরোনামে একটি বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছিল, যা সংসদে বাজেট ঘোষণার দিন সংবাদপত্রে প্রকাশ হয়।

ওই তথ্য জানিয়ে বারকাত বলেন, ‘বাজেট ঘোষণার আগে অর্থমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় সমিতির প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে। তিনি রেগে গিয়ে বলেন, তাহলে বাজেট তাদেরই দিতে বলুন। আমি যতদূর জানি প্রধানমন্ত্রী সংসদে বাজেট উপস্থাপনের আগে অর্থমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছিলেন। আমাদের বাজেট ছিল অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে দুই-তিনগুণ বেশি। খাতওয়ারি রাজস্ব আদায় ও খরচ উল্লেখও করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী জানতে চান অর্থনীতি সমিতি এটা কীভাবে করল? তাদের সাথে কি আপনার কথা হয়েছে? তখন অর্থমন্ত্রী কি জবাব দিয়েছেন, সেটা আমি জানি না। তবে তিনি কনভিনিয়েন্ট কোনো একটা জবাব দিয়েছেন।’

চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইরশাদ কামাল খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি এ কে এম ইছমাইল।



মন্তব্য চালু নেই