“অর্থনৈতিক উন্নয়নে একমাত্র চাবিকাঠি পরস্পরিক সহযোগিতা”

সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দি ইন্ডিপেনেডেন্ট গ্লোবাল কনফারেন্স অন বিসনেস অ্যান্ড ইকনোমিক্স। কনফারেন্সে কি-নোট স্পিকার ছিলেন ডঃ তৌফিক এ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি মন্ডলির মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্বষ্ঠপোষক প্রফ এম ওমার রাহমান (উপাচার্য, আইইউবি), কনফারেন্স চেয়ারম্যান প্রফ সারোয়ার উদ্দিন্ আহমেদ (ডিন, স্কুল অফ বিসনেস, আইইউবি) বিশেষ অতিথি প্রফ মিলান প্যাগন (উপ- উপাচার্য মনোনিত, আইইউবি), ড: সামিউল পারভেজ আহমেদ (কনফারেন্স কো অরডিনেটর) ।কি-নোট স্পিকার ডঃ তৌফিক এ চৌধুরী তাঁর সমাপনি বক্তব্যে বলেন “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরের সার্বজনিক উন্নয়নের একমাত্র চাবিকাঠি হছে আর্থিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যবর্তি পরস্পরিক সহযোগিতা এবং যৌথ উদ্যোগ।“উন্নত বুদ্ধিবৃত্তিক দৃষ্টিকোণের প্রভাবাধিন করে উন্নয়নশীল দেশসমুহের উন্নয়নের গতি আরো দ্রুত থেকে দ্রুততর করা সম্ভব।এই ভিন্ন মতামত ও ধারণা বিনিময়ের চর্চাদ্বারা উন্নত বুদ্ধিবৃত্তিক দৃষ্টিকোণের উন্নয়নের লক্ষে সেন্টার ফর বিসনেস পলিসি রিসার্চ (সিবিপিআর) অ্যাট স্কুল অফ বিসনেস, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভারসিটি বাংলাদেশ গত ২১শে মে, ২০১৬তে আয়োজন করে “ফার্স্ট ইন্ডিপেনেডেন্ট গ্লোবাল কনফারেন্স অন বিসনেস অ্যান্ড ইকনোমিক্স কনফারেন্স।“ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিলো বহুমাত্রিক এবং নানাক্ষেত্রের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ প্রদান করে, বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে সকল প্রধান চ্যালেঞ্জ সমুহের উপর আলোকপাত করা এবং এই সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার লক্ষে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা সুপারিশ ও প্রদান করা।সভায় লক্ষ্যবস্তু ধার্য করা হয় শিক্ষাবিদ এবং গবেষকদের একীভূত করা এবং তাঁদের অভিনব মতামতকে প্রতিপালন ও উৎসাহিত করা। আন্তরজাতিকভাবে সুখ্যাতি-সম্পন্ন সম্পাদকদের দ্বারা ৪৫টি রচনাবলী বিশ্লেষণ করা হয়। তাঁর মধ্য থেকে ৩টি বিষয়বস্তুর উপর বিত্তি করে ২৩টি রচনা বাছাই করা হয়। বিষয়বস্তু গুলি হচ্ছে, “ফাইনান্সিয়াল অ্যান্ড ইকনমিক ইশ্যুস” “মার্কেট ফোরসেস, ক্যমিউনিকেশন অ্যান্ড চেঞ্জিং টেকনলজিস” এবং “সোশ্যাল বিসনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট”।এই ৩টি উপ-বিষয়বস্তুসমগ্রের মাঝে সমসাময়িক এবং প্রাসঙ্গিক নানা বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিলো, যেমন “গ্রিন ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড রিপোরটিং অফ বাংলাদেশি কমারশিয়াল ব্যাঙ্কসঃ অ্যা প্রিলিউড টু করপোরেট পারফর্মেন্স? মিথ অর রিয়ালিটী”। “ডিটারমিন্যান্টস অফ ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়াঃ অ্যান ইম্পেরিকাল অ্যানালাইসিস”, “আর বিসনেস ফার্মস ইন বাংলাদেশ রেডি টু বি নলেজ বেসড ফার্মস?”এখানে উল্লেখযোগ্য খবর হছে এই রচনাবলির মাঝে ৩টি রচনা আইইউবির স্কুল অফ বিসনেসের ছাত্র-ছাত্রিদের দ্বারা সৃষ্ট। এই কনফারেন্স নিঃসন্দেহে গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং নীতি নির্ধারকদের তাঁদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও উপকারিতা প্রদান করবে। উপরন্তু এ দেশের বিভিন্ন বাস্তব পরিপ্রেক্ষিতের সাথে অংশগ্রহণকারীদেরপরিচিত করা এই কনফারেন্সএর লক্ষ। আশা করা হচ্ছে এই জ্ঞানবিস্তার এবং মতবিনিময় কার্যক্রম বাংলাদেশ ও বাংলাদেশি অরথনীতির বৃদ্ধির পথে সকল বাধা নির্ণয় ও অপসারণে মুখ্য ভূমিকা রাখবে।



মন্তব্য চালু নেই