অভিশংসন বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিলে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এবার অপেক্ষা কেবল গেজেট আকারে প্রকাশের, তারপরেই এ বিলটি আইনে পরিণত হবে।

সোমবার জাতীয় সংসদ সচিবালয় সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সংসদ সচিবালয় বাংলামেইলকে জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর করেছেন। এখন গেজেট আকারে প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে।

বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদকে দেয়া সংবিধান (ষোড়শ সংশোধনী) বিল ২০১৪ পাসের প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোটের হরতাল, পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠানোর আহ্বান এবং আইনজীবীদের একাংশের ডাকে আদালত বর্জন কর্মসূচির মধ্যেই বিলটিতে স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর দশম সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে এ বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সে সময়ে সংসদে উপস্থিত ৩২৭ জন সংসদ সদস্যের বিভক্তি ভোটের মাধ্যমে বিলটি পাস হয়। এ বিলটি পাসের মধ্য দিয়ে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

এখন এ আইনের মাধ্যমে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও অসামর্থতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদেরকে অপসারণ করতে পারবে সংসদ। ১৯৭২ এর সংবিধানে ৯৬ অনুচ্ছেদে এমনটিই ছিলো। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান এটি সংশোধন করে এ ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়ালের হাতে তুলে দেয়। তবে এখন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে এ ক্ষমতা আর থাকছে না।

২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সময়ে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা ওঠে। তবে সে সময়ে আর সে ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা হয়নি। পরবর্তীতে ২০১২ সালে তৎকালীন স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের একটি রুলিংকে কেন্দ্র করে কয়েকজন সংসদ সদস্য হাইকোর্টের একজন বিচারপতিকে অপসারণের দাবি তোলেন। তখন থেকেই বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনার জোর দাবি ওঠে। শেষ পযন্ত দশম সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে এ বিলটি পাস হয়।

তবে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘এ আইনের মাধ্যমে কারও অপসারণ করা হবে না, শুধুমাত্র বাহাত্তুরের সংবিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই