অভিবাসী উদ্ধারে জাহাজ কিনেছেন এক যুগল, উদ্ধার চার সহস্রাধিক

সাগরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ধনীরা প্রায়ই জাহাজ কিংবা বড় নৌকা কিনে থাকেন। কিন্তু ক্রিস এবং রেগিনা ক্যাট্রামবোন যুগল এদিক থেকে একটু ব্যতিক্রমই। তারাও বেশ বড় জাহাজ কিনেছেন কিন্তু তা ঘুরে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে নয়। বরং সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের উদ্ধারের জন্য।

হ্যাঁ, একটু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, সাগরে ভাসমান হাজারো অভিবাসীদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ক্রিস। তার স্ত্রীকে নিয়ে কিনেছেন ১৩০ ফুটের একটি উদ্ধারকারী জাহাজ।

গত গ্রীষ্মে আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পাড়ি জমানোর সময় হাজার হাজার মানুষ সাগরে মারা যায়। এমন মানবিক ঘটনা নাড়া দিয়ে যায় ক্রিসকে। সেসময়ই সিদ্ধান্ত নেন উদ্ধারকারী জাহাজ কেনার।

যুক্তরাষ্ট্রের এ নাগরিক তার ইতালিয়ান স্ত্রীকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন মাইগ্র্যান্ট অফশোর এইড স্টেশন (Migrant Offshore Aid Station (MOAS) । তাদের জাহাজের নাম দেন ফিনিক্স। ২০ জন জাহাজ কর্মী এবং তাদের কন্যা মারিয়া লুসিয়াকে নিয়ে নেমে যান সাগরে। উদ্ধার করতে থাকেন অসহায় মানুষদের।

সাগরে ভাসমান নাগরিকদের খুঁজে বের করতে তারা দুটি ড্রোন ব্যবহার করেন। এটি জাহাজের চারপাশে ৭০ মাইল এলাকা জুড়ে অভিবাসী নৌকা খুঁজতে থাকে। কাউকে খুঁজে পেলে জাহাজের কর্মীরা ছোট নৌকা ও লাইফ জ্যাকেট নিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

প্রথম অভিযানে ফিনিক্স ২৭০ জনের প্রাণ বাঁচায়। এখন পর্যন্ত ৪,৪৪১ জন অভিবাসীর জীবন বাঁচিয়েছে ফিনিক্স।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ‍উদ্ধারের পর এসকল অভিবাসীদের কী করা হয়। এমওএস তার ওয়েবসাইটে বলেছে, আমাদের মূল উদ্দেশ্য জীবন বাঁচানো, কাউকে উদ্ধার করে ডাঙ্গায় নিয়ে আসা নয়। তবে যদি কর্তৃপক্ষ আমাদের অনুরোধ করে, তবে আমরা অবশ্যই তাদের ডাঙ্গায় আনতে সাহায্য করবো। আমরা সমুদ্র আইন মেনেই অসহায় ভাসমান নাগরিকদের সাহায্য করার চেষ্টা করবো।



মন্তব্য চালু নেই