ট্রেনে হঠাৎ অসুস্থ, মিজু আহমেদের মৃত্যু

জনপ্রিয় অভিনেতা মিজু আহমেদ মারা গেছেন। ট্রেনে করে দিনাজপুর যাওয়ার পথে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শ্যুটিং করতে মিজু আহমেদ সোমবার রাতে দিনাজপুরে যাচ্ছিলেন।

চিত্রনির্মাতা শাহীন সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মিজু আহমেদের মরদেহ বিমানবন্দর রেলস্টেশনে রয়েছে।

ট্রেনে ওঠার কিছুক্ষণ পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে সেখান থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ বর্তমানে কুর্মিটোলা হাসপাতালে রয়েছে। অভিনেতা মিশা সওদাগর এই মুহূর্তে মিজু আহমেদের মরদেহের পাশে রয়েছেন।

মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম নাম হচ্ছে মিজানুর রহমান। শৈশবকাল থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তী তিনি কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সাথে অন্তর্ভুক্ত হন।

১৯৭৮ সালে তৃষ্ণা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কয়েক বছর পরে তিনি ঢালিউড চলচ্চিত্র শিল্পে অন্যতম সেরা একজন খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়াও তিনি তার নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস মুভিজ এর ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন।

তার অভিনীত ছবিগুলো মধ্যে হচ্ছে তৃষ্ণা (১৯৭৮), মহানগর (১৯৮১), স্যারেন্ডার (১৯৮৭), চাকর (১৯৯২), সোলেমান ডাঙ্গা (১৯৯২), ত্যাগ (১৯৯৩), বশিরা (১৯৯৬), আজকের সন্ত্রাসী (১৯৯৬), হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), কুলি (১৯৯৭), লাঠি (১৯৯৯), লাল বাদশা (১৯৯৯), গুন্ডা নাম্বার ওয়ান (২০০০), ঝড় (২০০০), কষ্ট (২০০০), ওদের ধর (২০০২), ইতিহাস (২০০২), ভাইয়া (২০০২), হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩), বিগ বস (২০০৩), আজকের সমাজ (২০০৪) মহিলা হোস্টেল (২০০৪), ভন্ড ওঝা ২(০০৬) ইত্যাদি।

তৃষ্ণা সিনেমায় অভিনয় করে তিনি ১৯৯২ সালে সেরা অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।



মন্তব্য চালু নেই