অবৈধ বাংলদেশিদের ভারত থেকে বের করার নির্দেশ

প্রায় চার দশক ধরে চলা আসাম আন্দোলন ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অবশেষে সমাধানের পথে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের সমস্যা। বুধবার এক রায়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আসাম-বাংলাদেশ সীমান্ত নিশ্ছিদ্র করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একই রায়ে আসাম থেকে অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যর্পণের আদেশও দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি আরএফ নরিমানের ডিভিশন বেঞ্চ অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর বিষয়টির অতি শীঘ্র সম্পূর্ণ করার আদেশ দিয়েছেন।

এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে সমস্ত বিষয়টি উপর নজর রাখবে মধুকর গুপ্ত কমিটি। সীমান্ত নিশ্ছিদ্র করতে যে পরিমাণ রুপি লাগবে তা শীঘ্রই দিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও বৈধ নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য ‘ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি)-র কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিচারপতিরা।

আসাম-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে ২.৯৬ কোটি রুপি দাবি করেছে আসাম সরকার। এই প্রেক্ষিতেই সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল, পিএস পাটওয়ালিয়া জানিয়েছেন, চলতি মাসের ১০ তারিখে একটি উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে, ২৫ মার্চ, ১৯৭১ সালের পর আসামে অবৈধভাবে প্রবেশ করা বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে ১ জানুয়ারি, ১৯৬৬ থেকে ২৪ মার্চ, ১৯৭১-এর মধ্যে আসামে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

কয়েক দশক ধরে অবৈধ অনুপ্রবেশের সমস্যায় ভুগছে আসাম-সহ একাধিক উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য। বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য বিপন্ন হয়ে গেছে ভূমিপুত্রদের অস্তিত্ব। সাতের দশকে এ নিয়ে ছাত্র সংগঠন ‘অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (আসু) আসাম জুড়ে শুরু হয় প্রবল আন্দোলন। ‘বিদেশি খেদাও’ স্লোগান শোনা যেতে থাকে সমস্ত আসাম জুড়ে। ওই আন্দোলনের ফলেই সম্পাদিত হয় আসাম চুক্তি।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই