অবিশ্বাস্য যে কাজগুলো করতে পারে একমাত্র শিশুরাই

শিশুরা নাকি ফেরেশতার মতন? কথাটার সত্যি-মিথ্যা নিয়ে খুব একটা গভীরে না গেলেও বাস্তবে কিন্তু শিশুদের ভেতরে এমন অনেক কিছু দেখা যায় যেটা বারবার মনে করিয়ে দেয়- ওরা সত্যিই অসাধারন! এই যেমন শব্দের কথাই ধরুন না! আপনি কি জানেন যে, শিশুরাই একমাত্র সব ধরনের শব্দকে একসাথে শোনার ক্ষমতা রাখে? শুধু তাই নয়। শিশুদের রয়েছে আরো অনেক এমন মজার আর বিষ্ময়কর ক্ষমতা। চলুন দেখে আসি সেগুলোকে।

১. বিচার করার ক্ষমতা

সৃষ্টির সেই শুরু থেকেই মানুষ অন্যকে চিনতে, অন্যের কাছ থেকে আসতে পারা বিপদের সম্ভাবনা আর পরিমাণকে অনুমান করতে সবসময় ব্যবহার করেছে নিজের বিচার করার ক্ষমতা। তবে সবাই নয়, মাত্র হাতে গোনা দু-একজনই পেরেছে সেটা। সম্প্রতি একটি গবেষনায় বিজ্ঞানীরা হঠাৎ করে খুঁজে পান সেই ক্ষমতাকে। তাও আবার ১০ থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুদের ভেতরে। এ পরীক্ষায় তাদের সামনে তিনটি পুতুলকে দেখানো হয়। যাদের একটি পাহাড়ে উঠছিল। আর অন্য দুজনের ভেতরে একজন তাকে সাহায্য করতে চাইছিল। অন্যজন বিরোধিতা। কিন্তু কে কি করবে সেটা বলার বা দেখাবার আগেই ১৬ জন শিশুর ভেতরে ১৪ জন বেছে নেয় সেই পুতুলটিকে যে কিনা সাহায্য করতে চেয়েছিল। কি করে এভাবে ভালো স্বভাবের পুতুলটিকেই চিনতে পারল এই শিশুরা? উত্তর একটাই। আর সেটা হচ্ছে শিশুদের অত্যন্ত তীক্ষ্ণ বিচার ক্ষমতার মাধ্যমে (হাফিংটন পোস্ট)।

২. নিজেকে সুস্থ করার ক্ষমতা

সাধারনত, মানুষের শরীরে কোন বড় রকমের চোট লাগলে সেটা শরীর নিজস্ব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সারানোর ব্যবস্থা করলেও রেখে যায় ক্ষতচিহ্ন। আপনার মনে হতেই পারে যে, বড়দেরই এই অবস্থা! তাহলে ছোটরা নিশ্চয় আরো বেশি সমস্যায় পড়ে এই ক্ষতগুলোকে নিয়ে। কিন্তু বাস্তবে কিন্তু ব্যাপারটা পুরোপুরি উল্টো। মানুষ এখনো অব্দি ঠিকঠাকভাবে কারণ বের করতে না পারলেও এটা সত্যি যে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুরা খুব সহজেই তাদের শরীরের যেকোন ক্ষতকে একেবারে নেই করে দিতে পারে (লিস্টভার্স)। আর তাই সদ্যজাত শিশুর শরীরে কোনরকম চোট লাগলেও সেটা শেষ অব্দি আর দাগ হয়ে থেকে যায়না।

৩. অসামঞ্জস্যকে ধরতে পারার ক্ষমতা

অনেক সময় দেখা যায় যে শিশুরা কোন একটি জিনিসের দিকে শক্তভাবে তাকিয়ে আছে। অনেকেই মনে করেন যে হয়তো সে ঐ জিনিসটি চাইছে বা এরকম কিছু। কিন্তু বাস্তবে ব্যপারটা কিন্তু পুরোপুরি উল্টো। শিশুরা সাধারণত যা দেখতে পায় সেটা খুব ভালোভাবে মনে রাখার চেষ্টা করে। কোন জিনিস কীভাবে কাজ করে, কেমন তার গতিবিধি- এ সবটা জানতে চেষ্টা করে তারা। তাই হঠাৎ যদি কোন কিছুর ভেতরে অন্যরকম ব্যাপার দেখা যায় তাহলে সেটার দিকে একভাবে তাকিয়ে থাকে (লিস্টভার্স)। তাই, এর পরে কোন শিশুকে কোন জিনিসের দিকে একভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখলে অবশ্যই এটা মনে করবেননা যে সেটা এমনিতেই। বরং খোঁজার চেষ্টা করুন যে কোনরকমের গড়বড় আছে কিনা সেদিকে।

৪. একই সময়ে সব ধরনের শব্দমাত্রা শুনতে পারা

সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে চালানো এক অনুসন্ধানে জানা যায় যে বড়দের চাইতে আরো খানিকটা বেশি শব্দের সাথে খেলা করতে পারে শিশুরা। সাধারণত আমরা কিছু শব্দ শুনতে পাই। তাও ক্ষেত্রভেদে নানাভাবে। কিন্তু গবেষনায় দেখা যায় যে, শিশুরা সব ধরনের শব্দই শুনতে পায়। এমনকি অনেক অবিশ্বাস্যরকমের শব্দের সাথেও পরিচিত তারা (সায়েন্স ডেইলি)। আর এই শব্দের বিভিন্ন রকম মাত্রা একই সাথে ধরতে পারা কারণে নানারকম বিপদ থেকেও সচেতন থাকতে পারে এরা।



মন্তব্য চালু নেই