অবাধে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব

চকরিয়ার বমু বিলছড়িতে চলতি বর্ষা মৌসুমে যে কোন মুহূর্তে পাহাড় ধসে পড়লে ঘরবাড়ী মাটি চাপা পড়ে অনেক মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে মাইট্টাটিলার পাড়ায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব।

সদ্য অন্য এলাকা থেকে আসা মাইট্টাটিলার পাড়ার মোঃ তাহের পিতা আনোয়ার আলী কর্তৃক অবাধে পাহাড় কাটার কারণে বৃষ্টির পানিতে মাটি নেমে এসে রিংওয়েল, ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে করে বৃষ্টির পানি স্বাভাবিক প্রবাহিত হতে না পেরে একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি ভেঙ্গে যায় এবং দেড়শত পরিবার পাহাড় ধসের আশংকায় রয়েছে।

পাহাড় কাটা নিয়ে মাইট্টাটিলার পাড়ার সর্দার মোঃ রাশেদ বলেন, শত বাধা দেয়া সত্ত্বেও গ্রামবাসীর কথা না শুনে বাহুবলে ও বিত্তশালী আত্মীয়ের দাপট দেখিয়ে ভরা বর্ষা মৌসুমে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে তাহের ও তার পরিবার। বৃষ্টিতে পাহাড় কাটায় পাহাড়ের মাটি নেমে আশপাশের ঘরবাড়ি, ড্রেন, রিংওয়েল, রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে বিচার না হতাশায় পাড়াবাসী।

এব্যাপারে আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জায়গা প্রসস্তের জন্য আমার জায়গায় আমি পাহাড় কেটেছি। তাতে কার কি ক্ষতি হল সেটি আমার দেখার বিষয় নয়।

এ বিষয়ে বমু বিলছড়ি ইউপির ২নং ওয়ার্ড মেম্বার এম. কফিল উদ্দিন বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়টি আমি অবগত আছি। পাহাড় না কাটতে মোঃ তাহের কে নিষেধ করি। আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করে দিব।

পাহাড় কাটা বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহেদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান বলেন, পাহাড় কাটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে সহকারী ভূমি কমিশনার কে দায়িত্ব দিব। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই