অবশেষে মুখ খুললেন আশরাফ

অবশেষে মুখ খুললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। নিজের দপ্তর হারানো প্রসঙ্গে সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, লাভের জন্য আমি রাজনীতি করি না। আমার বাবাও বঙ্গবন্ধুর সাথে বেঈমানি করেননি। বেঈমানি না করার কারণে বাবাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। আমার শরীরেও সেই রক্ত।

শনিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে এক ইফতার পার্টিতে আশরাফ এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ হোসেনপুর সমিতি এই ইফতারের আয়োজন করে।

নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের উদ্দেশে আশরাফ বলেন, আমি মন্ত্রী থাকি বা না থাকি, রাজনীতি করি বা না্ করি কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুরের জনগণের জন্য কাজ করে যাবো।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর এই প্রথম এ ব্যাপারে মুখ খুললেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতা।

আশরাফের অব্যাহতির গুঞ্জনের শুরু হয় গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। সেদিন বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন ওঠে। তবে ওই দিন সন্ধ্যায় নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ শহরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতারে অংশ নেওয়ার সময় তিনি বিষয়টিকে গুজব বলে অভিহিত করেন।

গত বৃহস্পতিবার সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সাংসদ আশরাফ ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জেলখানায় তাঁর পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর লন্ডনে চলে যান আশরাফ। সেখানেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হন সৈয়দ আশরাফ। এক-এগারোর সরকারের সময় আওয়ামী লীগের চরম দুর্দিনে দলের হাল ধরেন প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।



মন্তব্য চালু নেই