অবশেষে ভেরিফায়েড হলো পরীমনির ফেসবুক পেজ

চলচ্চিত্র মুক্তির আগেই নাম ছড়িয়ে পড়েছিল পরীমনির। ছবি মুক্তির পর দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেন পরীমনিকে। বড়পর্দার পাশাপাশি আজকাল ছোটপর্দার বিজ্ঞাপনেও পরীমনিকে দেখা যাচ্ছে প্রায়ই। ঊর্ধ্বমুখী এই ক্যারিয়ারে দিন দিন ভক্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে তাঁর। এমন তারকার ফেসবুকে ফ্যানপেজ না থাকলে চলে? আর এই ফ্যানপেজ যদি কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত না হয়, তাহলে তো একেবারেই চলে না। সুখবর হচ্ছে, গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে পরীমনির ফেসবুক ফ্যানপেজকে ‘আসল’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সেই পেজে গিয়ে দেখা গেল, পরীমনির ভক্তকুলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৪৫ জনে। এই সংখ্যার পারদ যে আরো উপরে উঠবে, সেটা সহজেই বোঝা যায়।

তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রতারণাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। অনেক তারকাই অভিযোগ করেন, তাঁদের নামে ভুয়া ও নকল পেজ খোলা হয়। সাধারণ মানুষও আসল-নকল না বুঝে ফেসবুকে নিজেদের প্রিয় তারকাকে অনুসরণ করতে থাকেন। এসব প্রতারণা এড়াতেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ভ্যারিফিকেশনের পদ্ধতি হাতে নেয়। বিশ্বের বিভিন্ন তারকার ভেরিফায়েড পেজ আছে এবং এটি বোঝা যায় নীল রঙের একটি বৃত্তের ভেতর সাদা টিক চিহ্ন দিয়ে। ঠিক এমনই এক চিহ্ন যোগ হয়েছে পরীমনির ফেসবুক পেজে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জন্য খুবই আনন্দের। গত রাতে ঘুম আসছিল না। আমি ফেসবুকেই ছিলাম। পেজ যখন ভেরিফায়েড হলো, তখন অনলাইনেই ছিলাম। এখন আর আমার ভক্তরা প্রতারিত হবেন না। একটা মজার ঘটনা বলি, একবার এক ছবির শুটিং করার সময় আমাকেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে একজন, তার নামও পরীমনি, চেহারাটাও আমার। আমি সবার সঙ্গে খুব হাসলাম, কত বড় সাহস আমার নামে ভুয়া পেজ ব্যবহার করছে, আবার আমাকেই রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছে! এখন ভালো লাগছে যে, এমন কেউ চাইলেও আর প্রতারণা করতে পারবে না। মনে হচ্ছে, এবারের ঈদে ফেসবুকের পক্ষ থেকে এটা আমার ঈদি। এর ফলে একটা বিষয়ে আশ্বস্ত হলাম, অর্থাৎ আমার নামে যেসব ভুয়া আইডি রয়েছে, তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকবে না। এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে?’

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে পরীমনি বলেন, ‘আমার ভক্ত-বন্ধুদের প্রতি একটা চাওয়া আছে। আপনাদের কারণেই আমি পরীমনি চলচ্চিত্রে একটা অবস্থান তৈরি করতে পেরেছি। যাঁরা বলেন আমাদের চলচ্চিত্রের এগিয়ে যাওয়া উচিত, বোম্বের থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আবার তাঁরাই আমাদের ছবির শুটিংয়ের ছবি যখন আপ করি, তখন এমন মন্তব্য করেন যে যা দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, এখানে মা-বাবা, ভাইবোন সবাই থাকে। যে কারণে মন্তব্য করার আগে একবার চিন্তা করেন, এখানে আপনার মা-বোনও আছে। তাঁদের কাছে শুধু আমাকে ছোট করছেন না, আপনিও ছোট হচ্ছেন। ছবির গল্পের প্রয়োজনে আমরা যে কাজ করি, তার ছবি দেখেও কিছু বন্ধু বাজে মন্তব্য করেন, তখন হতাশ হই। আমরা আপনাদের কাছে উৎসাহ চাই, কোনো কিছু খারাপ হলে পরামর্শ চাই, তাহলেই না আপনি আমার ভালো বন্ধু।’



মন্তব্য চালু নেই