অবশেষে দীর্ঘ ১৬ বছরের অনশন ভাঙলেন শর্মিলা

দীর্ঘ ১৬ বছরের অনশন ভাঙলেন ভারতের মণিপুর রাজ্যের মানবাধিকার কর্মী, আয়রনলেডি বলে খ্যাত ইরম শর্মিলা চানু (৪৪)। মণিপুরসহ উত্তরপূর্বের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে ২০০০ সাল থেকে অনশন চালিয়ে আসছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে ইম্ফলের জওহরলাল নেহেরু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি চলে যান আদালতে। সেখানে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অনশন ভাঙেন শর্মিলা।

তবে অনশন ভাঙলেও আফস্পা (ভারতীয় সেনার বিশেষ ক্ষমতা আইন) প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক ময়দানে নেমে ওই আইন প্রত্যাহার নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবেন আয়রন লেডি। অনশন ভেঙে বাইরে এসে অপেক্ষমান গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন শর্মিলা। তিনি বলেন, ‘আমি গত ১৬ বছর ধরে অনশন করেছি। কিন্তু তা থেকে কিছুই পাইনি। এখন ভিন্ন আন্দোলনের চেষ্টা করতে চাই আমি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় নামতে চাই। আগামী ২০১৭ সালে মণিপুর রাজ্যে বিধানসভার ভোট। সেই নির্বাচনে খুরাই কেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান তিনি।

২০০০ সালের ২ নভেম্বর ইম্ফল বিমানবন্দরের কাছে একটি বাস স্ট্যান্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায় শিশুসহ ১০ জন সাধারণ মানুষ। এরপর ৪ নভেম্বর থেকেই মণিপুরে ভারতীয় সেনার বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পা (এএফএসপিএ) প্রত্যাহারের দাবিতে অনশনে বসেন শর্মিলা। তখন তার বয়স ছিল ২৭ বছর। এরপর থেকেই ইম্ফলের জওহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ‘ন্যাজাল টিউব'(নাকে লাগানো নল)-এর মাধ্যমে জোর করে তরল খাবার খাওয়ানো হয় তাকে।

আফস্পা আইন অনুযায়ী সেনাবাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয় যাতে উপদ্রুত এলাকায় যে কোনও ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা বা বিনা বিচারে যতদিন খুশি হেফাজতে রাখার অধিকার পায় সেনাবাহিনী।



মন্তব্য চালু নেই