অবশেষে ছাড়া পেলেন সেই রুমা আক্তার

গুলশানের অভিজাত রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক রুমা আক্তার ছাড়া পেয়েছেন। সোমবার দুপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি এখন তার পরিবারের সঙ্গে নরসিংদীর গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। রুমার পারিবারিক সূত্র জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় ডিবি অফিস থেকে ফোন করে রুমা আক্তারের দুলাভাইকে জানানো হয় তাকে নিয়ে যেতে। কিন্তু ঢাকায় আসতে রাত হবে বলে সোমবার সকালে রুমা আক্তারের বোন সাবিনা আক্তার, দুলাভাই ও বাবা ডিবি অফিসে যান। খবর ঢাকাটাইমসের।

একটি ভিডিওর সূত্র ধরে গত ২৩ জুলাই নরসিংদীর শিবপুর থেকে রুমা আক্তারকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে আসে গোয়েন্দা পুলিশ। তখন অবশ্য পুলিশ তার আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছিল। তবে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ইমাম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রুমা আক্তারকে নিয়ে গেছেন। তবে এ বিষয়ে তাকে কিছু জানানো হয়নি।

পরে জানা গেছে, পুলিশ গণমাধ্যমে যে ভিডিও প্রকাশ করেছিল, ওই ভিডিওতে এক নারীকে আর্টিজানের সামনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সেই নারীই রুমা আক্তার। পুলিশের সন্দেহ, জঙ্গিদের সঙ্গে তার সংযোগ থাকতে পারে।

তবে রুমার পরিবার দাবি করে আসছিল, রুমা মানসিকভাবে অসুস্থ।

আটকের প্রায় ১৫ দিন পর আজ রুমা ছাড়া পেলেন। রুমার বোন সাবিনা আক্তার দুপুরে মুঠোফোনে বলেন, “আমার বোন রুমা আক্তারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এখন গুলিস্তান আছি, গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছি।” ডিবি অফিসে রুমা আক্তারকে কোনো ধরনের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করা হয়নি বলে জানান সাবিনা আক্তার।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মুহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, “রুমা আক্তারকে আটক করেছিল কবে যে তাকে ছেড়ে দেবে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এর আগে হামলার পর সেখানে জিম্মিদের উদ্ধারে পুলিশ এগিয়ে গেলে জঙ্গিদের বোমা ও গুলিতে একজন সহকারী পুলিশ সুপার ও বনানী থানার ওসি নিহত হন।

পরে ভোররাতে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে হলি আর্টিজানের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং অন্য জিম্মিদের উদ্ধার করে। অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন।



মন্তব্য চালু নেই