অবশেষে খোঁজ মিলল এক গ্রহের, যেখানে বাতাসে রয়েছে অক্সিজেন…

পৃথিবীতে জীবের উৎপত্তি ও প্রাণীজগতের বিকাশের মূলে রয়েছে জল এবং বাতাসে অক্সিজেনের উপস্থিতি। নতুন খুঁজে পাওয়া এই গ্রহের বাতাসেও পাওয়া গিয়েছে অক্সিজেন।

অক্সিজেন এবং জল, এই পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভবের মূল কারণ। জীবজগত এবং প্রকৃতির এই সমৃদ্ধ বিকাশ এই গ্রহে সম্ভব হতো না, যদি না এই গ্রহের বাতাসে থাকত অক্সিজেন। আধুনিক মহাকাশবিজ্ঞানের অন্যতম চর্চার বিষয় পৃথিবীর মতোই অন্য কোনও গ্রহে প্রাণ আছে কি না বা প্রাণের উদ্ভব হওয়ার মতো উপযুক্ত পরিবেশ আছে কি না।

অন্য সৌরমণ্ডলে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গ্রহে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। শুধু জল থাকলেই তো হবে না, সব দিক থেকে মানুষের বাসযোগ্য হতে হবে সেই গ্রহ। গত বছর ‘উলফ ১০৬১’ নামের একটি গ্রহকে ‘পৃথিবীর নিকটতম বাসযোগ্য গ্রহ’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।

এছাড়া ১২৪০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ‘কেপলার ৬২এফ’ গ্রহটিকেও বাসযোগ্য বলে জানিয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। কিন্তু তা বলে নতুন আরও বাসযোগ্য গ্রহের খোঁজ থেমে থাকেনি। কিছুদিন আগে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা আবার বলেছিলেন যে আমাদের সৌরমণ্ডলেই রয়েছে এমন একটি বাসযোগ্য উপগ্রহ এবং সেটি হল শনির সবচেয়ে বড় উপগ্রহ টাইটান।

কিন্তু এর মধ্যে কোনওটিরই বায়ুমণ্ডল অক্সিজেন সমৃদ্ধ নয়, অর্থাৎ এগুলিতে যদি মানুষকে থাকতে হয় তবে মাস্ক পরা বাঞ্ছনীয়। তবে অতি সম্প্রতি এমন একটি গ্রহের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে অন্য একটি সৌরমণ্ডলে, যার বায়ুমণ্ডলে রয়েছে অক্সিজেন। নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রহের নাম ‘জিজে ১১৩২বি’।

এটি একটি বামন সূর্য বা ‘ডোয়ার্ফ স্টার’-কে প্রদক্ষিণ করছে। পৃথিবী থেকে ৩৯ আলোকবর্ষ দূরত্বে থাকা এই গ্রহেই অক্সিজেন-সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল থাকার প্রবল সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

এই গ্রহ সম্পর্কে আরও বিশদে তথ্য সংগ্রহ করা হবে জায়ান্ট ম্যাগেলান টেলিস্কোপ এবং জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে। বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন থাকলেও এই গ্রহ সম্পূর্ণভাবে মানুষের বাসযোগ্য হবে কি না, তা নির্ধারণ করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।



মন্তব্য চালু নেই