অন্ধ্র প্রদেশে কোটার দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে চাকরিতে কোটা ও পশ্চাৎপদ সম্প্রদায় হিসেবে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে কাপু সম্প্রদায়ের লোকজন। পূর্ব গোদাবরি জেলায় রোববার বিকেলে বিক্ষোভকারীরা একটি ট্রেনের আটটি বগি ও দুটি পুলিশ স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করেছে। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক ও রেললাইন অবরোধ করলে বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার রাজধানী বিশাখাপত্তনম থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে তুনি এলাকায় সমাবেশ করে কাপু সম্প্রদায়ের লোকজন। বেলা ৩টার দিকে সমাবেশ শেষে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা রেললাইন ধরে হাঁটতে শুরু করে ও বিশাখাপত্তনম-বিজয়ওয়াদা রত্নাচল এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দেয়। তারা যাত্রীদের ট্রেন থেকে নেমে যেতে বলে ও আটটি বগিতে অগ্নিসংযোগ করে। পরে বিক্ষোভকারীরা তুনি পুলিশ স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করে। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এর পরই তারা তুনি রেলস্টেশনে হামলা চালায়। এখানে তাদের হামলায় চার রেল কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ সময় ২৭টি আঞ্চলিক ট্রেন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভকারীদের আরেকটি অংশ ১৬ নম্বর হাইওয়ে বন্ধ করে দেয়। এ সময় তারা ২৫টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনার পর মহাসড়ক অচল হয়ে পড়ায় রাজ্যের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভকারীরা যাতে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে সে জন্য সাময়িক সময়ের জন্য রাজ্যের মোবাইল ফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পরপর মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু জরুরি বৈঠক আহ্বান করেন। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘কাপু সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত কোটা রাখতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে আমি এমন কোনো সরকারি নির্দেশ দিতে পারি না, যা আদালতের বিবেচনার বিরুদ্ধে যায় এবং যা বাস্তবায়ন করা অসম্ভব হয়।’

এদিকে রাতেই কাপু সম্প্রদায়ের নেতা এম পদমানাভাব অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সহিংসতার বিষয়টি পরিকল্পিত ছিল না এবং তিনি আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে।



মন্তব্য চালু নেই