অনেকটাই আলাদা সৌদি রাজকন্যা আমিরা

সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন সৌদি আরবের এই রাজকন্যা। সুন্দরী হিসেবেও তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি। তবু রাজপরিবারের মেয়েদের চেয়ে অনেকটাই আলাদা আমিরা। মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই প্রবল মনের জোর, অদমনীয় সাহস আর তীব্র ইচ্ছাশক্তির সুবাদে দেশে-বিদেশে সাড়া জাগিয়েছেন রূপসী সৌদি রাজকন্যা আমিরা আল-তাউইল। শুধু সৌদিতেই নয়, গোটা বিশ্বে মানবাধিকারের স্বার্থে লড়াই করতে তিনি সদা তত্‍পর। বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এর মধ্যে ৭০টি দেশে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। সমাধান করে ফেলেছেন মানবাধিকার সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যার। দরিদ্র ও দুর্গতদের জন্য লড়াই করা আমিরার স্বভাব। বিশ্বের বেশ কয়েকটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। পশ্চিম আফ্রিকারদুর্যোগ পীড়িতদের জন্য ত্রাণ শিবির, পাকিস্তানের বন্যা কবলিত অঞ্চলের বাসিন্দাদের সাহায্য, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামীয় শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলা বা সোমালিয়ায় দুর্গতদের সেবায় ত্রাণ উদ্যোগ– সর্বত্র সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত রাজকন্যা। গোঁড়ামির বিরুদ্ধেও তাঁর প্রতিবাদ সুবিদিত। সৌদি আরবের মহিলাদের পরিধেয় চারাচরিত ঢিলেঢালা পোশাক ‘আবায়াস’-এর বিরুদ্ধে প্রথম যে কয়েক জন নারী প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন, আমিরা তাঁদের অন্যতম। পাশ্চাত্যের পোশাকই তাঁর বরাবরের পছন্দ। তবে তাতেও প্রতীচ্যের শৈল্পিক ছোঁয়া দেখা যায়। গোঁড়া সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবশ্য স্রেফ পোশাকের মাধ্যমেই চ্যালেঞ্জ জানাননি আমিরা। পুরুষের লালচোখকে অগ্রাহ্য করে সৌদি আরবের রাস্তায় তীব্র গতিতে গাড়ি চালাতেও তিনি ওস্তাদ। এছাড়া আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিগ্রিও তিনি হাসিল করেছেন। শুধু নিজেই নন, আমিরা চান তাঁর দেশের সব নারীই স্বাধীন ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠুন। এই ব্যাপারে তিনি সচেষ্ট উদ্যোগ প্রায়ই নেন। সন্ত্রাস ও হিংসার ঘেরাটোপে থাকা দুনিয়ায় রূপ-গুণ এবং মধুর স্বভাবে সত্যিই অনন্য রাজকন্যা আমিরা।



মন্তব্য চালু নেই