অনুমোদন ছাড়া বিদেশীদের নিয়োগ দিলে শাস্তি

বিনিয়োগ বোর্ডসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া অনিবাসী ব্যক্তিদের চাকরিতে নিয়োগ দিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত করারোপ করা হয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে যথেষ্ট বেকার যুবক থাকা সত্ত্বেও ব্যাপকভাবে বিদেশী জনশক্তি এখানে কাজ করেন। তাদের অনেকেই করের আওতায় আসেন না। বিদেশী কর্মরত লোকজনের নিবন্ধন গতবছর আমরা শুরু করেছি। এবারে তাদের ওপর নিয়মিত কর ধার্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা এখন অবৈধভাবে কোন প্রতিষ্ঠানের কাজে নিয়োজিত থাকবেন সেইসব প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রদেয় আয়করের ৫০ শতাংশ বা ৫ লাখ টাকা (যেটি বেশি) অতিরিক্ত কর আরোপের প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের সব রকম কর সুবিধা প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করছি। এই দুর্জনদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের লক্ষ্যে জেল ও জরিমানাও করা হবে।’

সাধারণত দেশে অনিবাসীদের কাজের অনুমতি দিয়ে থাকে বিনিয়োগ বোর্ড, বেপজা ও এনজিও উন্নয়ন ব্যুরো।

বিনিয়োগ বোর্ডের তথ্য মতে, দেশে ১২ হাজারেরও বেশি বিদেশী নাগরিক কর্মরত রয়েছে। এর বাইরে বেপজার অনুমোদিত বিভিন্ন ইপিজেডে কর্মরত রয়েছে প্রায় ৫ হাজার বিদেশী। আর এনজিও ব্যুরোর অনুমোদিত বিদেশী নাগরিক রয়েছে প্রায় ৫শ।

প্রস্তাবিত অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে অনিবাসী ব্যক্তিদের জেল-জরিমানার বিধান রেখে আয়কর অধ্যাদেশে ১৬৫সি নামে একটি ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া একই ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানের করযোগ্য আয়ের অতিরিক্ত কর ৫০ শতাংশ অথবা ৫ লাখ টাকা জরিমানার করার বিধান করা হয়েছে। এ জন্য আয়কর অধ্যাদেশের ১৬বি ধারাটি সংশোধন করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই