অনিয়মিত মিলনে ওভারিয়ান সিস্ট, কিছু নিয়মে প্রতিরোধ সম্ভব

ওভারিয়ান সিস্ট মেয়েদের সবচেয়ে বড় শারীরিক সমস্যা। সিস্ট হল পানিভর্তি ছোট থলি। একাধিক সিস্টকে একত্রে পলিসিস্ট বলা হয়। ওভারি বা ডিম্বাশয় ফিমেল রিপ্রোডাক্টিভ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। ছোট ছোট সিস্ট পুঁতির মালার মতো ওভারি বা ডিম্বাশয়কে ঘিরে রাখে। এই সিস্টের জন্য ওভারির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

চিকিৎসকের মতে, অনিয়মিত সেক্স লাইফ, হরমোনের সমস্যা, পিরিয়ড, অল্পবয়সে ঋতুস্রাব হওয়ার কারণে সিস্টের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন নারীরা।

এছাড়া বয়ঃসন্ধিকালে এ সমস্যা শুরু হলেও, দেরিতে বিয়ে, দেরিতে সন্তান নেয়ার কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়।

ওভারিয়ান সিস্ট নারীর একটি বড় সমস্যা, তবে প্রাথমিক পর্যয়ে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব। তাহলে দেরি কেন? আসুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে সিস্ট মোকামেলা করা যায়।

ডায়েট : অস্বাস্থ্যকর ডায়েট ও অনিয়মিত লাইফস্টাইল ওভারিয়ান সিস্টের অন্যতম কারণ। ডায়েটে ফল, সবুজ শাক-সবজি, গোটা শস্য জাতীয় খাবার রাখলে সিস্ট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করেন গবেষকরা।

হার্বাল উপায় : বেশ কিছু হার্বাল জিনিস এন্ডোক্রিন সিস্টেম সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হরমোনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখা, ওভিউলেশন নিয়মিত করতে ও জনন তন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। ড্যান্ডেলিয়ন, মিল্ক থিসল ইস্ট্রজেনের সঠিক মাত্রায় সিস্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রয়েছে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ : অতিরিক্ত ওজন ও বিএমআই বেশি হওয়ার কারণেও ওভারিয়ান সিস্টে আক্রান্ত হচ্ছেন নারীরা। মেদ ঝরিয়ে বিএমআফ ২৫ এর নীচে নিয়ে আসতে পারলে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যা অনেকটাই কাটানো যেতে পারে। এছাড়া কিছু ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট হরমোনের ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই, ফ্লাক্সসিড অয়েল, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি তার মধ্যে অন্যতম।



মন্তব্য চালু নেই