অনিশ্চয়তায় ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ

বাংলাদেশ আর ভারতের ক্রিকেট সম্পর্ক স্মরণকালের ভয়াবহতম পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। যার জের ধরে আগামী জুনে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজ নিয়ে তৈরী হয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা। খোদ ভারতেরই মিডিয়ায় এ নিয়ে লেখা-লেখি হচ্ছে।

মেলবোর্নে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আম্পায়ারদের বাজে সিদ্ধান্তসহ ভারতকে বেশ কিছু অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার প্রতিবাদে ঝড় ওঠে বাংলাদেশে। খোদ আইসিসি প্রেসিডেন্ট আ হ ম মোস্তফা কামাল আইসিসিকে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আখ্যা দিয়ে কঠোর প্রতিবাদ করেন।

‘আম্পায়াররা একটা উদ্দেশ্য নিয়ে সেদিন ম্যাচ পরিচালনা করেন’ বলে অভিযোগ তোলেন মোস্তফা কামাল। যে কারণে তার ওপর বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আইসিসি চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসন, প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনসহ এই সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

যার প্রতিক্রিয়া দেখা গেলো ফাইনালের দিন পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানেও। ফাইনালের আগেরদিনই আইসিসির একটা অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে তীব্র বাদানুবাদ হয় শ্রীনিবাসন এবং মুস্তফা কামালের মধ্যে। এরপর আইসিসির নিয়ম লঙ্ঘণকরে প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে তার অধঃস্তন চেয়ারম্যান মেলবোর্নের পুরস্কার বিতরনী মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজয়ী দলের অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দেন।

এ নিয়ে ফাইনালের পরে বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট আ হ ম মোস্তফা কামাল। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ফিরে আইসিসির কে কে, কী কী অপকর্ম করে যাচ্ছে তার সবই তিনি প্রকাশ করবেন। বাংলাদেশের মানুষ মনে করছে, আইসিসি প্রেসিডেন্টকে ট্রপি প্রদান করতে না দিয়ে কার্যত পুরো দেশকেই অপমান করেছে শ্রীনিবাসন।

আগামী জুনে বাংলাদেশে সফরে আসার কথা রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের। কিন্তু যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে, সে পরিস্থিতিতে আদৌ বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা তৈরী হয়েছে। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা এক সংবাদে লিখেছে, ‘ভারতের বাংলাদেশ সফর করার কথা আগামী জুনে। কিন্তু দু’দেশের ক্রিকেট প্রশাসনিক সম্পর্ক যেমন তিক্ততার স্তরে পৌঁছেছে, তাতে সফরটা হবে কি না এই মুহূর্তে ঘোরতর অনিশ্চিত।’



মন্তব্য চালু নেই