অতিরিক্ত খাওয়ায় হাসপাতাল থেকে বিতাড়িত

যুক্তরাষ্ট্রে স্টিভেন আসান্তি নামে ৩৩ বছরের এক যুবক পিৎজা অর্ডার করায় তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্টিভেন ৮০০ পাউন্ডের মেদবহুল শরীর নিয়ে দেশটির প্রভিডেন্স শহরের রোডেল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

স্টিভেন আসলে মরবিডলি নামক রোগে আক্রান্ত। সাধারণত এ ধরনের রোগীরা খাবারের প্রতি বেশি আসক্ত থাকে। এই রোগীদের দেহের মেদ প্রচুর পরিমানে বেড়ে যাওয়ায় তাদের হাঁটা চলায় বেশ অসুবিধা হয়।

গত কয়েক মাস আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্টিভেনের ওজন ৮০০ পাউন্ড থেকে ৭৮০ পাউন্ডে আনতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্ত স্টিভেন হাসপাতালের নিয়ম ভঙ্গ করেছিলেন। তিনি হাসপাতালের দেওয়া খাবারের বাইরেও অতিরিক্ত খাবার খাচ্ছিলেন। ফলে তার ওজন আবারও বেড়ে গিয়ে ৭৭৮ পাউন্ডে পৌঁছেছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার এই নিয়ম ভঙ্গের কথা জানতে পারে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয় ।স্টিভেন বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আমার কথা হয়েছিল যে, ‘আমার ওজন ৫৫০ পাউন্ডে নেমে না আসা পর্যন্ত তারা আমাকে হাসপাতালে থাকতে দেবে। তাছাড়া সেসময় আমার গ্যাষ্ট্রিক বাইপাস সার্জারি হওয়ার কথা ছিল। অথচ এ অবস্থাতেই তারা আমাকে বের করে দিয়েছে।

এদিকে স্টিভেনের বাবা ছেলেকে নিয়ে পরেছেন চরম বিপাকে। তিনি জানিয়েছেন, আমার ছেলেকে যখন হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয় তখন আমি রোডেল্যান্ডের রাস্তায় দাড়িয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছিলাম। কিন্তু কেউ আমাকে সাহায্য করার জন্য সক্ষম ছিল না। ছেলে তার পুরনো অভ্যাসে ফিরে যেতে পারে বলে বাড়িতেও ফিরতে চাইছিলেন না তিনি। তাই কোন স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ছেলেকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাবার প্রতিজ্ঞা করেন স্টিভেনের বাবা।

পরে তিনি স্টিভেনকে নিয়ে কেন্ট হাসপাতালে যান কিন্তু সেখানে তাদের রাত কাটানোর অনুমতিও দেয়া হয়নি। পরে সেখানকার একজন সমাজকর্মী বাবা-ছেলেকে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর আতলেবোরাউতে একটি সুবিধার কথা জানায় এবং সেখানে তারা সাহায্য পাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন ।

এদিকে স্টিভেন তার ফেসবুক পেজে এখবর প্রকাশ করেন। এরপরেই গনমাধ্যমগুলোতে স্টিভেনের এই দুর্দশা নিয়ে অনেক খবর প্রকাশিত হয় এবং রোধেল্যান্ড হাসপাতালকেও অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ফেসবুকে অনেকেই স্টিভেনকে সমর্থন করেছেন। বুধবার অনলাইনে একটি ভিডিওতে তিনি বলেন, আশা করা যায় নিকট ভবিষ্যতে আমার ওজন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।

ফেসবুকে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, যারা আমার ফেসবুকে আমাকে সমর্থন করেছেন আমি তাদেরকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আর যারা নেগেটিভ কথা বলেছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ। কেননা এটা আমাকে শুকিয়ে যেতে সাহায্য করবে।



মন্তব্য চালু নেই